ছবি সংগৃহীত
আপাতত গুরুগ্রামে, প্রিয়ঙ্কা পরে দিল্লিতেআপাতত মাস দুয়েকের জন্য গুরুগ্রামে ডিএলএফ-এর আবাসন। তার পর দিল্লিতেই খান মার্কেটের কাছে সুজন সিংহ পার্ক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার ঠিকানা হতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির জন্য যোগীর রাজ্যে গেলে তাঁর আস্তানা হবে লখনউয়ে শীলা কলের বাড়ি।
প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ শিবির থেকে আজ জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত লোদী এস্টেটের সরকারি বাংলো ছেড়ে রবার্ট ও প্রিয়ঙ্কারা গুরুগ্রামে চলে যাচ্ছেন। এসপিজি নিরাপত্তা সরে যাওয়ার পরে কেন্দ্র তাঁকে ওই বাংলো ছেড়ে দেওয়ার নোটিস পাঠিয়েছিল। আপাতত প্রিয়ঙ্কারা হরিয়ানার গুরুগ্রামে ৪২ নম্বর সেক্টরের ডিএলএফ অরালিয়া আবাসনে থাকবেন। তাঁর রাজনৈতিক কাজকর্ম চলবে মূলত ১০ জনপথে সনিয়া গাঁধীর বাসভবন থেকে।
রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে হরিয়ানা সরকারের থেকে পাওয়া জমি চড়া দামে ডিএলএফ সংস্থাকে বেচে দিয়ে সেই টাকা পকেটে পোরার অভিযোগ উঠেছিল। প্রিয়ঙ্কা সেই ডিএলএফ-এর আবাসনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিজেপি নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় কটাক্ষ করেছেন, ‘গুরুগ্রামের গল্ফ কোর্স রোডের ওই ‘পশ’ আবাসনে এক-একটি ফ্ল্যাটের দাম ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে গোটা ডিএলএফ আবাসনটাই তো প্রিয়ঙ্কার স্বামীর!’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কাদের অধিকাংশ জিনিসপত্রই গুরুগ্রামের ফ্ল্যাটে চলে গিয়েছে। প্রিয়ঙ্কা এখন জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাই সিআরপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা তৈরি করছে। মাস দুয়েক পরেই তিনি দিল্লিতে সুজন সিংহ পার্কের একটি বাড়িতে চলে আসবেন। সেই বাড়িতে এখন মেরামতি চলছে।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার বলে দিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বেই কংগ্রেস লড়বে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে বলে ঘোষণা প্রয়োজন। তা হলে সেই লড়াই কি দিল্লিতে বসেই হবে?
কংগ্রেস নেতাদের ব্যাখ্যা, দিল্লিতে বাড়ি নিলেও প্রিয়ঙ্কা বেশির ভাগ সময় লখনউয়ে ‘কল নিবাস’-এ থাকবেন। করোনার প্রকোপ কমলে অগস্টে প্রিয়ঙ্কা লখনউ যাবেন।