নাগপুরের কালামনা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা সিএসএমটি শালিমার এক্সপ্রেসের। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কাছে লাইনচ্যুত হল ১৮০২৯ সিএসএমটি শালিমার এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার নাগপুরের কালামনা স্টেশনের কাছে ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের ইঞ্জিনিয়াররাও। ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে ওই শাখায় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। তবে দ্রুত ট্রেনের বগিগুলিকে তুলে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেলের সিনিয়র ডিসিএম দিলীপ সিংহ জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে সিএসএমটি শালিমার এক্সপ্রেস কালামনা রেলস্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের এস ২ বগি এবং পার্সেল ভ্যান লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। যাত্রী এবং তাঁদের পরিজনদের জন্য রেল একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। সেখানে সমস্ত খবর জানতে এবং জানাতে পারবেন তাঁরা।
গত ১৭ অক্টোবর আগরতলা থেকে মুম্বইগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়। অসমের লুমডিং শাখায় ডিবালং স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, ইঞ্জিন, পাওয়ার কার-সহ ট্রেনের আটটি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
বার বার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক কালে যে ভাবে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। গত ১১ অক্টোবরই তামিলনাড়ুর কাবারাপেত্তাইয়ে মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল একটি দূরপাল্লার ট্রেন। ১২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। যাত্রীদের কেউ গুরুতর আহত হননি সেই বারও। তবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন রেলযাত্রীরা। এক মাসের মধ্যে কয়েক দিনের ব্যবধানে পর পর তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে রেল।