কর্নাটকে ভোটের আগে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
ভোটমুখী কর্নাটকে ঝাউগাছে টাকা ফলছে দিব্য! এক টাকা, দু’টাকা নয়, কোটি কোটি টাকা!
১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। তার আগে দিকে দিকে উদ্ধার হচ্ছে টাকা। অটোরিকশা থেকে শুরু করে সাধারণ হাতব্যাগ, সবেতেই ঠেসে ভরা বান্ডিল। এহ বাহ্য, কর্নাটকের আয়কর দফতর মাইসুরু থেকে এক কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। চমকে ওঠার মতো তথ্য হল, সেই টাকা নাকি ফলেছে ঝাউগাছে! তেমনই দেখা যাচ্ছে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয়।
পুত্তুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী অশোককুমার রাই। তাঁর ভাইয়ের বাড়ি মাইসুরুতে। আয়কর দফতরের কর্তারা মাইসুরুর বাড়িতে অভিযান চালান। সেই বাড়ির ভিতর থেকে বিশেষ নগদ উদ্ধার হয়নি। হতাশ হয়ে আয়কর কর্মীরা বাগানে যান। খোলা হাওয়ায় একটি গাছের পাশেই দাঁড়িয়ে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন তাঁরা। আচমকাই তাঁদের চোখ যায় ঝাউগাছের ডালে। দেখেন, তাতে একটি মস্ত পেটি বাঁধা রয়েছে। সন্দেহ হয় আয়কর কর্মীদের। কাগজের ভারি বাক্স নামিয়ে মুখ খুলতেই হাসি খেলে যায় তাঁদের মধ্যে। ঝাউগাছে যে নোটের বান্ডিল ফলেছে!
কর্নাটকে কংগ্রেস প্রার্থীর ভাইয়ের বাড়ির বাগানের গাছে ফলেছে এক কোটি টাকা! ছবি: সংগৃহীত
পরে গুনেগেঁথে দেখা যায়, মোট এক কোটি টাকা ছিল গাছের ডালে থোকা থোকা ফলের মতো ঝুলে। ভোটমুখী কর্নাটকে টাকার খেলা রুখতে তৎপর হয়েছে আয়কর দফতর। প্রায় রোজই বিভিন্ন জায়গা থেকে নগদ উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে, ঝাউগাছে বান্ডিল ‘ফলার’ ঘটনা সব কিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল একটি সাধারণ অটোরিকশায় সওয়ার দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় নগদ এক কোটি টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে এল, তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি দুই ব্যক্তি।
কর্নাটকের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আয়কর দফতর অতর্কিত অভিযান চালিয়ে যে অর্থ উদ্ধার করছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আদতে কর্নাটকের আকাশে-বাতাসে টাকা ভেসে বেড়াচ্ছে। দু’হাত দিয়ে ধরার অপেক্ষা কেবল!
ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেস— দুই পক্ষই কর্নাটকে বিপুল জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। কর্নাটকে ২২৪টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে আগামী ১০ মে। ফল ঘোষণা ১৩ মে।