— প্রতীকী ছবি।
ওড়িশায় কুমিরের হামলায় প্রাণ গেল ১০ বছর বয়সি স্কুলপড়ুয়ার। পরে নদী থেকে আধখাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া ব্রাহ্মণী নদীতে স্নান করতে নেমেছিল। তখনই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি কুমির। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানের কাছেই নিমাপুর গ্রাম। সেখানেই বয়ে চলেছে ব্রাহ্মণী নদী। বুধবার সেই নদীতেই স্নান করতে নামে স্থানীয় স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। তখনই তাকে একটি কুমির আক্রমণ করে। কুমিরের হামলার কথা ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা নদীতে নেমে পড়ুয়াকে খুঁজতে শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক পর পড়ুয়ার আধখাওয়া দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পাট্টামুন্ডাই থানার এক আধিকারিক।
বছরের এই মরসুমে নোনা জলের কুমিরেরা প্রাকৃতিক কারণেই হিংস্র হয়ে পড়ে। যে কোনও রকম বাধার মুখে পড়লেই হামলা করতে পারে তারা। রাজনগর ম্যানগ্রোভ অরণ্য ডিভিশনের আধিকারিকরা বলছেন, সম্ভবত কুমিরের সামনে পড়ে গিয়েছিল ওই স্কুলপড়ুয়া। তাই কুমিরটি তার উপর হামলা করে। জলের মধ্যে কুমিরের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা পড়ুয়ার ছিল না।
মৃত পড়ুয়ার পরিবারকে ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। বন দফতর সূত্রে খবর, ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান এবং তৎসংলগ্ন মহানদী ব-দ্বীপ অঞ্চলে ১,৭৯৩টি নোনাজলের কুমির আছে। তারই কোনও একটির হামলায় প্রাণ গেল স্কুলপড়ুয়ার।