উত্তরীয় পরিয়ে বৈজনাথ সিংহকে দলে ফেরাচ্ছেন প্রদেশ সভাপতি কমলনাথ। ছবি: কংগ্রেস
মধ্যপ্রদেশে ভোটের আগে আবারও শাসকদল বিজেপিকে ধাক্কা দিল কংগ্রেস। এ বার ফাটল সরাসরি শিণ্ডে শিবিরে। ২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিবপুরির নেতা বৈজনাথ সিংহ কংগ্রেসে ফিরলেন। ‘ঘর ওয়াপসির’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৈজনাথ এলেন ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে, তারস্বরে হুটার বাজিয়ে।
শিবপুরি থেকে ভোপাল। ৩০০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বৈজনাথ সিংহ। ২০২০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁর সঙ্গেই দলবদল করেছিলেন বৈজনাথও। এর পরেই রাজ্যে কমলনাথের সরকার পড়ে যায়। ক্ষমতায় ফেরেন বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান। শিণ্ডেকে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী করা হয়। কিন্তু হাত খালি ছিল বৈজনাথের।
সূত্রের খবর, এ বছর আসন্ন বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির প্রার্থী হতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও সুবিধা করতে পারেননি। বিজেপির টিকিট পাবেন না নিশ্চিত হয়েই আবার ঘরে ফেরার উদ্যোগ নিতে শুরু করেন বৈজনাথ। কথা শুরু হয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। তার পরেই বৃহস্পতিবার সকালে ৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ভোপালের প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে চলে আসেন বৈজনাথ। তাঁর হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন প্রদেশ সভাপতি কমলনাথ। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আর এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ।
প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, শুধু বৈজনাথই নয়, তাঁর শতাধিক ‘বন্ধু’ও কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিজেপির জঙ্গলরাজ খতমের পণ করেছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বৈজনাথের সঙ্গে জেলাস্তরের আরও জনা পনেরো নেতা দলে যোগ দিয়েছেন।
তবে ৪০০ গাড়ির কনভয় দেখে চোখ কপালে ভোপালবাসীর। জাতীয় সড়ক নিয়ে কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার সময় বহু মানুষ নিজের মোবাইলে বন্দি করেন সেই দৃশ্য। যদিও এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। বিজেপির প্রশ্ন, হুটার বাজিয়ে কনভয় ছোটানো কতটা আইনসম্মত? বৈজনাথ বা তাঁর সঙ্গীরা কি আদৌ হুটার বাজানোর অনুমতি পান? একে কংগ্রেসের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার চূড়ান্ত প্রকাশ বলে অভিহিত করেছে বিজেপি। পাল্টা কংগ্রেসের জবাব, পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বুঝেই আইনের বইয়ের দোহাই তুলতে হচ্ছে বিজেপিকে।