সংসদ চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক।
ছাতা হাতে বৃষ্টির মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেহরক্ষী তো বটে, অন্য কাউকেই ছাতা ধরতে দেননি। এমন ছবিকে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের একের পর এক নেতা যখন এই ছবি ‘গর্ব’ প্রকাশ করে নেটমাধ্যমে পোস্ট করছেন তখনই উঠেছে অন্য এক প্রশ্ন। কেউ কেউ নেট মাধ্যমেই জানতে চেয়েছেন, ছাতা নিজে হাতে ধরলেও একটু বৃষ্টির জলে দাঁড়াতে পারলেন না মোদী! পায়ের তলায় ‘ম্যাট’ রাখতে হল?
সোমবার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদ ভবন চত্বরে যখন মোদীর গাড়ি এসে পৌঁছয় তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। গাড়ি থেকে নেমে নিজেই ছাতা মাথায় দিয়ে এগিয়ে যান মোদী। সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন কথা বলছেন তখনও কারও হাতে ছাতা দেননি তিনি। মোদীর এই ছবি নিয়েই বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের দাবি, এমনটা আর কেউ করতে পারেন না। স্বাধীনতার পরে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে এই ভাবে নিজের ছাতা নিজে হাতে নিতে দেখা যায়নি।
সবুজ ম্যাটের উপরে দাঁড়িয়ে মোদী। এ নিয়েই কটাক্ষ।
এমন দাবি নিয়ে ছবিটি ভাইরাল করার চেষ্টা যখন চলছে তখনই সেই ছবি ঘিরে নতুন প্রশ্ন জন্ম নিল নেটমাধ্যমে। আসলে সংসদ চত্বরের যেই জায়গায় মোদী সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন সেখানে একটি সবুজ রঙের ‘ম্যাট’ পাতা ছিল। আর তার উপরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি যেখানে মোদী ‘ফকির আদমি’ বলে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘যিনি বৃষ্টির জমা জলে পা রাখতে পারেন না, তাঁর কাছে কী করে আশা করা যায় যে, তিনি দেশের গরিব মানুষের কষ্ট বুঝবেন?’
তবে সে দিকে নজর দিচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। সেটাকে গুরুত্ব না দিয়েই ‘হাতে ছাতা’ ছবি ভাইরাল করার মরিয়া চেষ্টা চলছে বিজেপি-র পক্ষে। ‘আমরা এ রকম প্রধানমন্ত্রী পেয়ে সত্যিই খুব গর্বিত’ বলে টুইট করেছেন বাংলার সাংসদ, নেতারাও। কেউ কেউ কংগ্রেসের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন। বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভানেত্রী বিজয় রাহতকার টুইটারে লেখেন, ‘পণ্ডিত নেহরুর একেবারে এমন একটি ছবির অপেক্ষায় রয়েছি।’ কেউ কেউ সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ থেকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা, বিমান বসু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়েরও এমন ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে সংশ্লিষ্টদের মাথায় অন্য কেউ ছাতা ধরে রয়েছেন।