ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমানটি আগে ছিল ভারতীয় এক সংস্থার। ছবি: সংগৃহীত।
নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে ভেঙে পড়েছে যাত্রীবাহী বিমান। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমানটি আগে ছিল ভারতীয় এক সংস্থার। সেই সংস্থার উড়ানে বিমানটি ব্যবহার করা হত। পরে ভারতে সংস্থাটি উঠে গেলে তাইল্যান্ডের হাতে চলে যায় ওই বিমান। তার পর সেখান থেকে বিমানটি কিনে নেয় নেপালের বিমান সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইন্স।
এটিআর-৭২ বিমানটি এক সময় বিজয় মাল্যের কিংফিশার এয়ারলাইন্স ব্যবহার করত। বিমানের উড়ান, যন্ত্রপাতি, মূল্য সংক্রান্ত তথ্যের হিসাব রাখা ‘সিরিউম ফ্লিটস্ ডেটা’-র পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৭ সালে কিংফিশার এয়ারলাইন্সে এই বিমানটি ব্যবহার করা শুরু হয়। ৬ বছর ধরে দেশে-বিদেশে বহু যাত্রীকে পৌঁছে দিয়েছে এই বিমান। ২০১৩ সালে বিমানটি কিনে নেয় তাইল্যান্ডের সংস্থা।
তাইল্যান্ডের নুক এয়ারে বেশ কয়েক বছর বিমানটি ব্যবহৃত হয়। তার পর ২০১৯ সালে নেপালে পাড়ি দেয় বিমানটি। নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্স বিমানটি কিনে নেওয়ার পর থেকে সেই দেশেই যাত্রীবহন করত এই বিমান। রবিবার সকালের দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তা।
এর আগে কখনও কোনও এটিআর-৭২ বিমান নেপালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। ইয়েতি এয়ারলাইন্স ছাড়া নেপালের বুদ্ধ এয়ারলাইন্সও এই বিমান ব্যবহার করে। বিমানের নামে ‘৭২’ সংখ্যাটি রাখার কারণ, এই ধরনের বিমানে মোট ৭২ জনের বসার জায়গা রয়েছে।
রবিবার ক্রু সদস্য এবং যাত্রীদের নিয়ে নেপালের ওই বিমানে মোট ৭২ জন ছিলেন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পোখরা বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। মাটি ছোঁয়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানে ছিলেন পাঁচ ভারতীয়। তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে ৬৮টি মৃতদেহ। সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বাকি চার জনের খোঁজ মেলেনি।