সোমনাথবাবুর মৃত্যুর পরে সিপিএম নেতারা তাঁর বাড়িতে গেলেও পরিবারের আপত্তিতে মরদেহে দলীয় পতাকা তাঁরা দিতে পারেননি। অশোকবাবুর শেষকৃত্যে অবশ্য শামিল হয়েছিলেন রাজ্য সিপিএমের বেশ কিছু নেতা।
কান্নুর পার্টি কংগ্রেসে পলিটবুরো সদস্য মানিক সরকার। নিজস্ব চিত্র।
জীবদ্দশায় দলের সঙ্গে তাঁদের মতবিরোধ হয়েছিল বিস্তর। এক জন দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, আর এক জন দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে নতুন সংগঠন গড়েছিলেন। তৃতীয় জন মনে-প্রাণে কমিউনিস্ট থাকলেও দলের সদস্যপদ আর নবীকরণ করাননি। কান্নুর পার্টি কংগ্রেসে সেই তিন প্রয়াত নেতা-নেত্রী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, কে গৌরী আম্মা এবং অশোক মিত্রের স্মরণে শোক প্রস্তাব নিল সিপিএম। বিগত পার্টি কংগ্রেসের পরে যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের জন্য পরবর্তী পার্টি কংগ্রেসে শোক প্রস্তাব নেওয়া হয় রেওয়াজ মেনেই। এ বার যেমন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির নাম আছে ওই প্রস্তাবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দলের পলিটবুরো সদস্য মানিক সরকার বুধবার পার্টি কংগ্রেসের সূচনা-পর্বে যে শোক প্রস্তাব পাঠ করেছেন, তাতে একদা বহিষ্কৃত সোমনাথবাবু ও গৌরী আম্মার কথা আছে। সোমনাথবাবুর মৃত্যুর পরে সিপিএম নেতারা তাঁর বাড়িতে গেলেও পরিবারের আপত্তিতে মরদেহে দলীয় পতাকা তাঁরা দিতে পারেননি। অশোকবাবুর শেষকৃত্যে অবশ্য শামিল হয়েছিলেন রাজ্য সিপিএমের বেশ কিছু নেতা।