খুন হয়েছেন কেরলের পালক্কারের সিপিএম নেতা কে শাহজাহান ছবি সংগৃহীত।
কেরলে এক সিপিএম নেতাকে তাঁর দলের সদস্যরাই গলা কেটে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, আততায়ীদের মধ্যে ওই নেতার নিজের ছেলেও ছিলেন। যদিও কেরলের সিপিআইএম নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের পাল্টা দাবি দলের নেতাকে খুন করেছে বিজেপি অথবা আরএসএস। ঘটনাটির তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার রাতের ঘটনা। ঘটনাস্থল কেরলের পালক্কার। পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ ওই নেতাকে তাঁর বাড়ির কাছেই ছজনের একটি দল আচমকা আক্রমণ করে। ওই দলে ওই নেতার ছেলেও ছিলেন। আর ছিলেন তাঁরই দলের সদস্যরা। কেরলের ওই বাম নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কেরলের ওই নেতার নাম কে শাহজাহান। বয়স ৪০। তিনি কেরল সিপিআইএমের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে প্রত্যক্ষর্শীরা জানিয়েছেন, খুনের আগে শাহজাহানের উপর শারীরিক অত্যাচার শুরু করেছিল আততায়ীরা। তাতে ওই নেতার ছেলেই বাধা দেন। পরে আবার তিনিই পুলিশকে ফোন করে বাবার মৃত্যুর খবর দেন। হাসপাতালেও নিয়ে যান শাহজাহানকে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর অবশ্য অন্তর্ঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। বরং তাদের পাল্টা দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি এবং আর এস এসের হাত আছে। পালক্কারের সিপিআইএম জেলা সচিব ই এন সুরেশ বাবু জানিয়েছেন, আততায়ীরা এক কালে দলের সদস্য হলেও পরে তারা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয়। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি কে প্রশ্ন করা হলে তিনিও অভিযোগ উড়িয়ে দেন এবং বলেন পুরোটাই সিপিআইএমের ভিতরের বিষয়। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।