দলের রাজ্য দফতরে হামলার অভিযোগে সিপিআইয়ের প্রতিবাদ। বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে। বুধবার।
রাতের অন্ধকারে বেঙ্গালুরুর অভিজাত এলাকা মল্লেশ্বরমে হামলা হল সিপিআইয়ের রাজ্য দফতরে। পুড়িয়ে দেওয়া হল দফতরের বাইরে রাখা আধ ডজন বাইক। আগুন লাগানো হল একটি হলেও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের জেরেই আরএসএস-বিজেপি এমন হামলা করেছে, এই অভিযোগে রাস্তায় নামল সিপিআই। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের যোগ অস্বীকার করেছেন।
সিপিআইয়ের কর্নাটক রাজ্য দফতর ‘ঘাটে ভবন’-এ আগুন লাগানোর চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে। সে দিনই কেরলে সিপিএম এবং সিপিআই সমর্থকেরা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মেঙ্গালুরুতে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং পুলিশের গুলিচালনার ঘটনার খবর করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন মালয়ালম সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সেই ঘটনার জেরেই কেরলে পড়শি রাজ্যের বিজেপি-শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল দিনের বেলা। আর তারই জেরে রাতে সিপিআইয়ের কর্নাটক রাজ্য দফতরে সঙ্ঘ-বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে বাম নেতাদের ধারণা।
ঘটনায় এফআইআর দায়ের হওয়ার পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজও জোগাড় করা হয়েছে। সিপিআই দফতরে যে কর্মীরা ও পরিবার থাকেন, তাঁরাই বেরিয়ে এসে আগুন নেভাতে হাত লাগিয়েছিলেন। হামলার প্রতিবাদে বুধবার মল্লেশ্বরমেই বিক্ষোভ মিছিল করে সিপিআই। দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেছেন, ‘‘সঙ্ঘ-বিজেপির অসহিষ্ণুতা ও মরিয়া মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। উত্তরপ্রদেশ ও মণিপুরেও আমাদের নেতাদের অন্যায় ভাবে আটক করা হয়েছে। এ ভাবে প্রতিবাদ থামানো যাবে না। বরং, আগুন নিয়ে খেললে বিজেপির সরকারকে মূল্য দিতে হবে!’’