গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের এক্সই রূপটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
মুম্বইয়ে কোভিড আক্রান্তের দেহে নয়া রূপ এক্সই হানা দিয়েছে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে বুধবার জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র। মুম্বইয়ে এক মহিলার দেহে কোভিড-১৯-এর নয়া এক্সই রূপের সন্ধান মিলেছে বলে খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়। ওই মহিলা নয়া রূপে আক্রান্ত বলে জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং বৃহন্মুম্বই পুরসভা। তবে এই খবরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞেরা এখনও এমন কোনও তথ্য পাননি যাতে প্রমাণ হয় ওই মহিলা কোভিডের নতুন এক্সই রূপে আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই সূত্র জানিয়েছে, এক্সই রূপে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়। এর পর জিন বিশেষজ্ঞরা বিশদে নমুনাটি বিশ্লেষণ করেন। তবে তাঁদের অনুমান যে এই রূপটির জিনের গঠন এক্সই রূপের জিনের গঠন থেকে আলাদা। তাই এখন থেকেই এই রূপকে এক্সই রূপের নাম দেওয়া উচিত হবে না বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
যে মহিলার দেহে এই রূপের হদিশ মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছিল তিনি সম্পূর্ণভাবে কোভিড টিকা প্রাপ্ত। ৫০ বছর বয়সি মহিলার কোনও কোমর্বিডিটি এবং উপসর্গ নেই বলেও চিকিৎসকরা জানান। তিনি ১০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। তার আগে তাঁর কোনও ভ্রমণের রেকর্ড ছিল না। দেশে আসার পর কোভিড পরীক্ষা করা হলে তিনি করোনা আক্রান্ত নন বলেই রিপোর্ট এসেছিল।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছিল, করোনাভাইরাসের এই এক্সই রূপটি ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। হু-এর বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই এক্সই রূপটির উৎপত্তি হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের এক্সই রূপটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সে দেশে ৬৩৭টি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও করোনাভাইরাসের নয়া রূপটির মারণক্ষমতা কম বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অনুমান ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের একাংশের।