ফাইল ছবি।
সেরাম ইন্সস্টিটিউটের তৈরি কোভোভ্যাক্স টিকা রফতানির জন্য প্রস্তুত। সেই মর্মে ১০ কোটি এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি গবেষণাগার। হিমাচলের কাসৌলির ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি (সিডিএল)’ এখনও পর্যন্ত ১০ কোটির বেশি কোভোভ্যাক্স টিকার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে ব্যবহারের জন্য এখনও পর্যন্ত এই টিকা ছাড়পত্র পায়নি। ফলে ১০ কোটি টিকাই বিদেশে রফতানি করা হবে।
ভারতে এই টিকার ছাড়পত্র এখনও না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সিরামের সিইও আদার পুণাওয়ালা। এ জন্য সরাসরি সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। আদার বলেন, ‘‘কোভোভ্যাক্সই ভারতে তৈরি একমাত্র টিকা, যেটি ইউরোপেও পাওয়া যাচ্ছে এবং এর কার্যক্ষমতা ৯০ শতাংশ।’’
এ দিকে সিডিএলে এই টিকাই আবার পরীক্ষার জন্য আসতে চলেছে বলে খবর। তা ভারতে ব্যবহার করা হবে। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘ছাড়পত্র পাওয়ার পর সংস্থাটি আরও টিকা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠাবে। এখনও পর্যন্ত এই দফায় বেশির ভাগ টিকাই বিদেশে রফতানির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এ বার দেশে ব্যবহারের জন্যও একই টিকা পাঠানো হবে বলে খবর পাচ্ছি।’’ সূত্রের খবর, গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর থেকেই কোভোভ্যাক্স টিকা সি়ডিএলে পাঠানো শুরু হয়েছিল। যে টিকাগুলি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশে রফতানি করা হবে।
গত মঙ্গলবারই পুণাওয়ালা টুইটারে ঘোষণা করেন, কোভোভ্যাক্সকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের দেওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভারতে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের কর্বেভ্যাক্স টিকা দেওয়া হচ্ছে, এবং ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের সরকারি টিকাকেন্দ্র থেকে কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, সিরামের এই টিকাটি কর বাদে ২২৫ টাকায় বেসরকারি টিকাকেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে।