গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে অবশেষে ধোঁয়াশা কাটল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৬টি দেশের ছাত্রপত্র পেল সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ওই টিকা। শনিবার নিজেই এ সুখবর দিয়েছেন সিরাম-কর্তা আদার পুনাওয়ালা। যদিও ওই দেশগুলিতে ভ্রমণের আগে এই টিকাপ্রাপ্তদের সেখানকার কোভিড সংক্রান্ত নানা বিধিনিধেষও মেনে চলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন আদার। শনিবার টুইটারে আদার লিখেছেন, ‘পর্যটকদের কাছে এটা সত্যিই সুখবর যে, ১৬টি ইউরোপীয় দেশে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিভিন্ন দেশের নিয়মে রকমফের থাকতে পারে। ফলে টিকাপ্রাপ্তদের সে সব দেশে ভ্রমণের আগে তা খুঁটিয়ে দেখে নেওয়ার অনুরোধ করব।’প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা এ দেশে কোভিশিল্ড নামে তৈরি করছে সিরাম। তবে সম্প্রতি তাতে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি বা ইএমএ জানিয়েছিল, কোভিশিল্ডের জন্য তাদের কাছে বাণিজ্যিক ছাড়পত্রের আবেদন জমা পড়েনি। ফলে তাতে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন টুইট করে জানিয়েছিলেন, কোভিশিল্ডকে ইইউ-এর ১৫টি দেশ অনুমোদন দিচ্ছে। এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় অনুমোদন দিলেও কোভিশিল্ডকে সবুজ সঙ্কেত দিতে রাজি ছিল না ব্রিটেন।
ছাড়পত্র নিয়ে এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এই আবহে ভারত সরকারও কার্যত হুঁশিয়ারি দেয়, কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র না দেওয়া হলে ইইউ অনুমোদিত টিকাপ্রাপ্তরাও এ দেশে নানা বিধিনিষেধের মধ্যে পড়বেন। কোভিশিল্ডের ছাড়পত্র নিয়ে ইইউ-এর সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিল ভারত। অবশেষে টানাপড়েন কাটিয়ে তাতে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেল।
আপাতত ইইউ-এর ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও স্পেন-সহ মোট ১৬টি দেশই স্বীকৃতি দিল কোভিশিল্ডকে।