প্রতীকী ছবি।
দেশে দৈনিক করোনার লেখচিত্রে উদ্বেগের পারদ ক্রমশ চড়ছে। শনিবারের তুলনায় রবিবার আরও বাড়ল সংক্রমণ। সামান্য কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০,৫২৮ জন। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ২০,০৪৪। এক দিনে ভাইরাস-হানায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৫৬।
এখনও পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০৯। এই মুহূর্তে দেশে মোট রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৪৯। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৪৭ শতাংশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
দৈনিক সংক্রমণের হার (যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়) ৫.২৩ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৪.৫৫ শতাংশ।
কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, পঞ্জাব, দিল্লিতে সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। কোভিডের দাপাদাপি আবার শুরু হয়েছে, কিন্তু এখনও প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধির তোয়াক্কা না করে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে দেশবাসীর একাংশকে। যা উদ্বেগজনক বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)