নরেন্দ্র মোদী।
প্রতিষেধকের ভাঁড়ারে টান। তড়িঘড়ি ছাড়পত্র দিতে হচ্ছে বিদেশে তৈরি প্রতিষেধককে। গত কয়েক দিন ধরে রাহুল গাঁধী বলে আসছেন এমতাবস্থায় বিদেশে প্রতিষেধক রফতানি বন্ধ রাখার জন্য। গত কাল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর মোদীকে লেখা চিঠিতেও একই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু আজ বিদেশ মন্ত্রক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন (ভিডিয়ো মাধ্যমে) রাইসিনা আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, টিকা-কূটনীতির অবস্থান থেকে তিনি সরছেন না।
আজ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের রাইসিনা আলোচনা। উপস্থিত রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী প্রমুখ। তাঁদের একই মঞ্চে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী আজ করোনা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার যেমন ডাক দিয়েছেন তেমনই তাতে ভারতের ভূমিকাকেও জোরালো ভাবেই তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, “পাসপোর্টের রং বিচার না করে, সবাইকে সবার পাশে দাঁড়াতে হবে বিশ্ব থেকে এই অতিমারি দূর করার জন্য। গত বছর আমরা ১৫০টি দেশকে ওষুধ পাঠিয়েছি।
এ বছর বহু অসুবিধা সত্ত্বেও ৮০টিরও বেশি দেশকে প্রতিষেধক পাঠানো হয়েছে। জানি, চাহিদার তুলনায় এই সরবরাহ অত্যন্ত সামান্য। গোটা বিশ্বের মানুষের প্রতিষেধক পেতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু আশায় কাজ হয়। আমরা এই ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা, আমাদের পারদর্শিতা এবং সম্পদ গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিতে থাকব, যাতে গোটা মানবজাতি লড়াই করতে পারে।”