চলতি মাসে ‘বেহদীনখলম’ উৎসব হলেও ভিড়ের এ ছবি দেখা যাবে না মেঘালয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারি বা মড়কের মতো ‘অশুভ শক্তি’র থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রতি বছরই নেচে, গেয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন তাঁরা। তবে চলতি বছরে ‘বেহদীনখলম’ নামে চার দিনের সেই বার্ষিক উৎসবে করোনাভাইরাসের বিনাশ চাইবেন মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া পাহাড়ের উপজাতিরা। করোনা পরিস্থিতিতে এ উৎসবে কাটছাঁট করা হয়েছে। জারি হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। সেই সঙ্গে রয়েছে একটা শর্তও— একমাত্র কোভিড টিকাপ্রাপ্তরাই ‘বেহদীনখলম’-এ যোগ দিতে পারবেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘বেহদীনখলম’-এর আক্ষরিক অর্থ হল অতিমারি বা মড়কের মতো বিনষ্টকারী শত্রুকে তা়ড়িয়ে দেওয়া। প্রতি বছর জুলাইতে চাষের জমিতে বীজ রোপণের আগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয়। তবে চলতি বছর টিকা না নেওয়া থাকলে এই উৎসবে ঢোকা যাবে না। জোয়াইয়ের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘এটা আমাদের নিজস্ব উৎসব। ভাইরাস হোক বা অন্য কোনও রোগ, সব কিছুর থেকে মুক্তি পেতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব। যাতে মেঘালয় তো বটেই, গোটা দেশ করোনা-মুক্ত হয়।’’
করোনাকে তাড়াতে গিয়ে নিজেরাই যাতে তার শিকার না হয়ে পড়েন, সে দিকেও খেয়াল রয়েছে উদ্যোক্তাদের। জোয়াইয়ের সভাপতি ও আর সাল্লাম বলেন, ‘‘কোভিডের টিকা নিয়েছেন, এমন লোকজনদেরই এ বার উৎসবে আসতে দেওয়া হবে। প্রতিটি এলাকা থেকে ২০-৪০ জন করে আসতে পারবেন। তবে লোকজন কম হলেও উৎসবের সমস্ত আচার মেনেই তা পালন করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হবে, যাতে অতিমারি বা অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়।’’
উৎসবের শুরুতে শুয়োর বলি থেকে শুরু করে প্রথামাফিক রথযাত্রা অথবা জঙ্গলে গিয়ে কাঠের গুঁড়ি খুঁজে আনা, স্থানীয়দের মধ্যে খেলা বা একে অপরকে কাদা মাখানো— থাকবে সবই কিছুই। তবে প্রতি বারের মতো এ বারও মহিলারা এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন না।