কেরলের গ্রামে করোনা ঠেকাতে মোতায়েন কম্যান্ডো বাহিনী। ছবি: টুইটার।
অ্যাসল্ট রাইফেল উঁচিয়ে ছোটাছুটি করছেন কালো পোশাকের কম্যান্ডোরা। পুলিশের গাড়ি থেকে অবিরাম চলছে মাইক প্রচার। কাশ্মীর উপত্যকার কোনও জঙ্গি উপদ্রুত এলাকা নয়, এ দৃশ্য কেরলের করোনা কবলিত পুন্থুরার! রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের অদূরের এই উপকূলীয় গ্রামে কোভিড-১৯-এর ‘সুপার স্প্রেডার’দের রুখতে এমনই তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।
গ্রামে টহলদার কেরল পুলিশের বাহিনীতে রয়েছেন ১৫ জন কম্যান্ডো। মাইকে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে কঠোর ভাবে লকডাউন মেনে চলার বিষয়ে। বাড়ি থেকে না বেরনোর কথাও বলা হচ্ছে। আর কেউ সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে সটান পাঠানো হচ্ছে কোভিড-১৯ কোয়রান্টিন সেন্টারে। আর এ ক্ষেত্রে কোনও রকম ‘প্রতিরোধে’র সম্ভাবনা এড়াতেই মোতায়েন করা হয়েছে কম্যান্ডোদের।
পিনারাই বিজয়ন সরকারের করোনা মোকাবিলা টিমের সদস্য চিকিৎসক মহম্মদ আসিল জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি যদি অন্তত ছ’জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ান, তবে তাঁকে ‘সুপার স্প্রেডার’ বলা যাবে। পুন্থুরায় বেশ কয়েক জন সুপার স্প্রেডার রয়েছেন। তাদের কারণেই সেখানে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের দফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত পাঁচ দিনে ওই গ্রামে ৬০০ জনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
আরও পড়ুন: তিন এলাকা থেকে সেনা সরাল চিন, নজর রাখছে ভারত
পুন্থুরার বাসিন্দারা মূলত মৎস্যজীবী। আশাপাশের গ্রামগুলির মৎস্যজীবীদের সঙ্গেই নৌকায় সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাঁরা। এলাকার বিভিন্ন মাছের আড়তের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এক মাছ ব্যবসায়ীর সূত্রেই পুন্থুরায় মৎস্যজীবীরা করোনাভাইরাসের কবলে পড়েন বলে সরকারি সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে পুন্থরার বাসিন্দাদের সংস্পর্শে আসা শতাধিক ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন সংক্রমণ প্রায় ২৫ হাজার, সুস্থ প্রায় ২০ হাজার