প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বুধবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা কথা বলায় সময় নাক ও মুখ নিঃসৃত ড্রপলেট এবং ধূলিকণা বাতাসে ভেসে যায়। এর পর তা মাটিতে বা অন্য কোনও বস্তুর গায়ে জমা হয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় থাকে ভাইরাস। কোনও সুস্থ ব্যক্তির হাতের মাধ্যমে ওই ড্রপলেট বা ধূলিকণা চোখ, নাক বা মুখের সংস্পর্শে এলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এ ধরনের সংক্রমণকে বলে ‘ফোমাইট ট্রান্সমিশন’। বিদ্যুতের সুইচ, কম্পিউটারের কি-বোর্ড, দরজার হাতল এমনকি কলমের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবনের দফতরের তরফেও ‘ফোমাইট ট্রান্সমিশন’ সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। ড্রপলেট বাতাসে ২ মিটার এবং ক্ষুদ্র ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ১০ মিটার পর্যন্ত ভেসে বেড়াতে পারে বলে বলা হয়েছিল ওই সতর্কবার্তায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আগেকার নির্দেশিকায় সংক্রমণ ঠেকাতে অন্তত ৬ ফুট (১.৮ মিটার) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। নয়া সতর্কবার্তার জেরে কঠোর ভাবে দূরত্ববিধি বজায় রাখার কথা বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, ‘ফোমাইট ট্রান্সমিশন’ রুখতে ড্রপলেট জমা হতে পারে এমন স্থানগুলি ঘন ঘন পরিষ্কারের কথা বলা হয়েছে।