করোনার টিকা আবিষ্কারের পথে কয়েক ধাপ এগোল ভারত বায়োটেক।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের গতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আশঙ্কাও। এই পরিস্থিতিতে করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে আশার আলো দেখাল হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি করা করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। ওই টিকা মানবদেহের উপর পরীক্ষা বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য সংস্থাটিকে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। টিকা তৈরির ক্ষেত্রে হায়দরাবাদের ওই সংস্থাটিকে সাহায্য করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)।
করোনার টিকা তৈরির জন্য দুনিয়া জুড়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বহু সংস্থা। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া-সহ বহু দেশেই চলছে এই অতিমারিকে জয় করার নিশ্চিত কৌশল আবিষ্কারের চেষ্টা। সেই তালিকায় আগেই নাম লিখিয়েছিল ভারত। এ বার সেই গবেষণায় আরও কয়েক পা এগোল বলে দাবি। করোনার টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। তাতে আশার আলো দেখা গিয়েছে। এর পরের হার্ডল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সে জন্য ওই সংস্থাকে এ বার অনুমোদন দিল ডিসিজিআই। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এলা বলছেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে প্রথম দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিনকে নিয়ে আমরা গর্বিত। এ ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সাহায্য করেছে আইসিএমআর এবং এনআইভি।’’ ওই টিকা তৈরির জন্য তাঁদের সংস্থা নিরলস ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কৃষ্ণা।
করোনার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য এই প্রথম কোনও সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই থেকেই সারা দেশে শুরু হবে মানবদেহের উপর ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ট্রায়াল। এখন সাজ সাজ রব ভারত বায়োটেকের কর্মীদের মধ্যে। এর আগে পোলিও, র্যাবিস, রোটাভাইরাস, জাপানি এনসেফেলাইটিস, চিকনগুনিয়া, জিকা-র মতো রোগের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে ভারত বায়োটেক। সেই মুকুটে নতুন পালক যোগ হবে করোনার টিকা নিয়ে গবেষণায় ১০০ শতাংশ সাফল্য মিললে।
আরও পড়ুন: ‘গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন’, অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রতিক্রিয়া চিনের
দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন সাড়ে ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি মানুষের। এমন অবস্থায় করোনার টিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম দেশীয় কোনও সংস্থার এত দূর এগিয়ে যাওয়া আশাপ্রদ বলেই মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য: ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর