হাইওয়েতে ট্র্যাক্টর ব্যবহার করা যাবে না: আদালত। ছবি পিটিআই।
রবিবারের বৈঠকও ফলপ্রসূ হয়নি। কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রের ওই প্রস্তাব ‘নজর ঘোরানো’র চেষ্টা। আবারও বুধবার থেকে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি নতুন দমে শুরু করার কথাও বলেছে তারা। তার মধ্যেই মঙ্গলবার পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট ‘কৃষক আন্দোলন’ নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছে। আদালত জানায়, ‘মোটর ভেহিকল আইন’ অনুযায়ী কেউই হাইওয়েতে ট্র্যাক্টর ট্রলি ব্যবহার করতে পারেন না। তাই প্রত্যেককে ‘সাংবিধানিক কর্তব্য’কে মনে রাখতে হবে।
কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা পৌঁছে দিতে গত মঙ্গলবার থেকে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি শুরু করেছেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা— মূলত এই তিন রাজ্যের কৃষকেরাই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো কৃষক সংগঠন। কৃষকদের দাবি, ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে।
পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানায় গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকেরা। ট্র্যাক্টর নিয়ে সীমানা পেরিয়ে রাজধানীতে ঢুকতে চান তাঁরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছে। কৃষকেরা বুধবার কী পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার। তবে তার আগে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলে, ‘‘আপনারা ট্র্যাক্টর চেপে অমৃতসর থেকে দিল্লি যেতে চাইছেন। আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তবে কিছু সাংবিধানিক দায়িত্বও রয়েছে, তা অনুসরণ করা দরকার।’’ আরও বলা হয়, ‘‘প্রত্যেকের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, তবে সেটি কিছু যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে।’’
মঙ্গলবার হাই কোর্ট পঞ্জাব সরকারকে ‘নিশ্চিত’ করতে বলেছে, যাতে কোথাও বড় জমায়েত না হয়। কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে, সরকার আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে তাঁদের দাবি নিয়ে বৈঠক করেছে। তার পরই আদালত কেন্দ্রের কাছে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানতে চায়। কেন্দ্রকে নতুন করে হলফনামা দিয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।