প্রতীকী ছবি
দেশের প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করলেই শীর্ষ আদালতের কর্তৃত্বকে খাটো করে দেখানো হয় না বলে দাবি করলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননার ফৌজদারি অপরাধের মামলায় গত কালই হলফনামা দাখিল করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন প্রশান্ত। গত ২৭ জুন টুইটারে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ছয় বছর ধরে ভারতীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে শীর্ষ আদালতেরও ভূমিকা ছিল। এর পরেই বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার ফৌজদারি অপরাধের মামলায় নোটিস পাঠায় তাঁকে।
হলফনামায় ওই আইনজীবী বলেছেন, দেশের প্রধান বিচারপতিই সুপ্রিম কোর্ট আর সুপ্রিম কোর্ট মানেই প্রধান বিচারপতি— এমন ভাবনা শীর্ষ আদালতের প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বকে কমিয়ে দেয়। আর প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করলেই সুপ্রিম কোর্টের বদনাম করা হল কিংবা এর কর্তৃত্বকে কম করে দেখানো হল, ব্যাপারটা এমনটা নয়।
হলফনামায় প্রশান্ত আরও লিখেছ্নে, প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে হেলমেট ছাড়াই বাইকে চড়েছেন কেন, সে প্রশ্ন তোলার জন্য তিনি দুঃখিত। কারণ, বাইকটি যে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল, সেটা তিনি খেয়াল করেননি। সে ক্ষেত্রে
হেলমেটের প্রয়োজনও ছিল না। তবে টুইটের ওই অংশ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেও বাকি বক্তব্যে এখনও অটুট রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন প্রশান্ত। তাঁর যুক্তি, শীর্ষ আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবে চলছে না এবং ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। সে জন্যই ওই টুইট করেছিলেন। এ ছাড়া, চার জন প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে নিজের ধারণা থেকেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত।