Uttar Pradesh

‘ভুল’ চিকিৎসা ১৪ বছর ধরে, বাবা হতে পারবেন না যুবক! চিকিৎসককে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা

মামলা চলাকালীন রাজ্য উপভোক্তা কমিশনের প্রিসাইডিং অফিসার ভুক্তোভুগীকে মামলার খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানি শেষে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৮
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

১৪ বছর ধরে এক রোগীর চিকিৎসা করছেন। বিভিন্ন ওষুধ, ইঞ্জেকশন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তাতেও লাভ হয়নি। তার পরই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেন ওই রোগী। আদালত সব শুনে উল্টে ওই চিকিৎসককেই ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন। আদালতের বক্তব্য, চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ রোগীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করেছে। নষ্ট হয়েছে তাঁর সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা জনৈক ব্যক্তি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অরবিন্দ গুপ্ত নামে এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছেন। শত চেষ্টাতেও সন্তান হচ্ছিল না। চিকিৎসকের নির্দেশে বিভিন্ন পরীক্ষা করান। ওযুধ খান, নেন ইঞ্জেকশনও। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। ভুক্তোভোগী যুবক উপভোক্তা আদালতে জানান, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অরবিন্দের কাছে প্রথমে তিনি চিকিৎসার জন্য যান। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করতে থাকেন ওই যুবক।

প্রয়াগরাজের মোতীলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক অরবিন্দ। এ ছাড়াও, শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। মামলাকারীর বক্তব্য, চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বেশ কয়েকটি হরমোন ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছিল। কিন্তু ১৪ বছর ধরে চিকিৎসায় কোনও সাড়া না পাওয়ায় অন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তিনি। দ্বিতীয় চিকিৎসক যাবতীয় পরীক্ষা করে জানান, এত দিন তাঁর ভুল চিকিৎসা হয়েছে! অরবিন্দের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ওই যুবক বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছেন।

Advertisement

মামলা চলাকালীন রাজ্য উপভোক্তা কমিশনের প্রিসাইডিং অফিসার ভুক্তোভোগীকে মামলার খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানি শেষে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল, সেই হাসপাতালকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ভুক্তোভোগীকে ন’শতাংশ সুদ-সহ জরিমানার পুরো টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement