নিহত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি গোষ্ঠীর নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনের মামলায় দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবারই তাঁদের মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে পেশ করা হয়। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, ধৃতদের থেকে ২৮টি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। এই হামলার সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক চক্রও জড়িত থাকতে পারে বলে আদালতে সংশয় প্রকাশ করেছেন সরকারি আইনজীবী। বিশদ তদন্তের জন্য ধৃতদের উভয়েরই ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানান আইনজীবী।
সিদ্দিকির উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আততায়ীর বয়স নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয় আদালতে। ধৃত এক আততায়ীর দাবি, তার বয়স ১৭ বছর। কিন্তু সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তের আধার নথি তুলে ধরে জানান, ওই তরুণের বয়স ১৯ বছর। এই বিভ্রান্তির কারণে আপাতত এক অভিযুক্তকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হেফাজতে থাকবেন গুরমল বলজিৎ সিংহ। অপর অভিযুক্তের বয়স নির্ধারণের শারীরিক পরীক্ষা (অসিফিকেশন টেস্ট) করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
শারীরিক পরীক্ষার পর পুনরায় ওই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করতে হবে। অসিফিকেশন টেস্টের মাধ্যমে শরীরের হাড় কতটা পরিণত হয়েছে, তা জানতে পারেন চিকিৎসকেরা। এর থেকে এক জন ব্যক্তির বয়স নির্ধারণ করা যায়। সাধারণত এই পরীক্ষার জন্য হাত ও কব্জির হাড়ের এক্স রে করানো হয়।
প্রসঙ্গত, লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতী দল এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে কি না, সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রবিবার দুপুর থেকে। নিজেকে বিশ্নোইয়ের দলের সদস্য বলে দাবি করে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী। সেই পোস্ট ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ওই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তবে তদন্তে নেমে খুনের নেপথ্যে সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। সমাজমাধ্যমের ওই পোস্টটিও নজরে এসেছে পুলিশের। তবে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ওই পোস্টটির সত্যতা যাচাই করার প্রক্রিয়া চলছে।