Kanhaiya Kumar

Kanhaiya Kumar: কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না: কানহাইয়া

কিছু দিন আগে রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি এত দিন তা দলের নেতাদের কাছে অস্বীকার করে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৮
Share:

কানহাইয়া কুমারকে কংগ্রেসে স্বাগত জানাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গতি বাড়াতে হবে। মতাদর্শগত সঙ্কীর্ণতা ভাঙতে হবে। বামেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার নয়, কিন্তু কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। এমন এক গুচ্ছ যুক্তি দিয়ে সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে এআইসিসি-র সদর দফতরে রাহুল গাঁধীর সামনে কংগ্রেসের সদস্য পদের ফর্ম পূরণের আগে বেলা সওয়া একটা নাগাদ কানহাইয়া সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাকে চিঠিতে জানান, তিনি আর বাম দলে থাকছেন না।

কিছু দিন আগে রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি এত দিন তা দলের নেতাদের কাছে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে সিপিআইয়ের সদর দফতর অজয় ভবন এবং পটনায় সিপিআইয়ের রাজ্য দফতরে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরের বাতানুকূল যন্ত্র খুলে নিয়েছেন! নিজের খরচেই ওই যন্ত্র লাগিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

রাহুলের সঙ্গে আজ বৈঠক করেছেন গুজরাতের নির্দল দলিত বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণীও। তার আগে দিল্লির শহিদ পার্কে রাহুলের সঙ্গে ভগৎ সিংহের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। নির্দল হিসেবে গত ভোটে জেতায় জিগ্নেশ এখন কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, আগামী বছর গুজরাতে ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন।

জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদে নেতা হিসেবে কানহাইয়া বাম শিবিরে আশা জাগিয়েছিলেন। বিজেপি তাঁকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্য বলেও দাগিয়ে দিয়েছিল। কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগেই বিজেপি এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়র মন্তব্য, ‘‘সার্জিকাল স্ট্রাইকের বর্ষপূর্তিতে ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে-র জন্য বিখ্যাত কানহাইয়া ও জিগ্নেশকে কংগ্রেস দলে নিচ্ছে।... ভারতবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোই এখন কংগ্রেসের নীতি।’’ বিজেপি নেতা তেজিন্দর পাল সিংহ বগ্গার কটাক্ষ, ‘‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গেই কংগ্রেসের স্লোগান।’’

বিজেপি কানহাইয়াকে সামনে রেখে এ ভাবে নিশানা করবে বলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের আশঙ্কা ছিলই। কমিউনিস্ট পার্টি থেকে কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে মণীশ তিওয়ারি হালকা ছলে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন। কিন্তু রাহুল শিবিরের মতে, দলে বিজেপি ও আরএসএসকে জোর গলায় নিশানা করার মতো নেতার অভাব রয়েছে। রাহুল তা করলেও, বাকিরা সে ভাবে সরব হন না। কানহাইয়া, জিগ্নেশরা সেই অভাব পূরণ করবেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে তাঁদের কাজে লাগানো হবে।

আজ ‘মাঠে নেমেই’ কানহাইয়া নিজস্ব ধাঁচে নরেন্দ্র মোদীকে ‘গডসের পূজারি’, ‘বার বার পোশাক বদলানো এ যুগের গোবিন্দা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, ‘‘গাঁধীজি কস্তুরবা গাঁধীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়েছিলেন। তাঁকে দেশের জন্য পরিবার ছাড়তে হয়নি। ওঁকে নাকি হয়েছে!’’ সঙ্ঘ পরিবারকে কটাক্ষ, ‘‘এ কেমন পরিবার, যার জন্য নিজের পরিবার ছাড়তে হয়!’’

এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কানহাইয়া আরও বলেন, সিপিআইয়ে তাঁর ‘জন্ম’, রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তবে এখন ডান, বাম সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। ক্ষুব্ধ রাজা অবশ্য বলেছেন, ‘‘কানহাইয়া সিপিআইয়ের সঙ্গে, মতাদর্শের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা মেটাতেই কংগ্রেসে গিয়েছেন কানহাইয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement