এই বাসে করেই ফেরানো হয় পড়ুয়াদের। ছবি: টুইটার থেকে
লকডাউনের মধ্যেই শতাধিক বাসে করে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদের উত্তরপ্রদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ঘিরে বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ওই পড়ুয়াদের স্ক্রিনিংয়ের পর বাড়ি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। অভিযোগ উঠেছে লকডাউনের নিয়মভঙ্গেরও। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের মতো তাঁদেরও ঘরে ফেরার বন্দোবস্ত করা উচিত ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের। যদিও যোগী সরকারের বক্তব্য, কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককেও ঘরে ফেরানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বহু শহর থেকে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়েছিলেন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী ও পড়ুয়া। তাঁরা চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁদের রাজ্যে ফেরাতে আগ্রা থেকে ২০০ এবং ঝাঁসি থেকে ১০০ বাস পাঠায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। আজ শনিবার তার মধ্যে একশোটি বাস ওই পড়ুয়াদের নিয়ে ফিরে আসে আগ্রায়।
কিন্তু লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন।’’ তাই অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন লকডাউনের নিয়ম ভেঙেছেন যোগী। একই অভিযোগে সরব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘ওই পডু়য়ারা হস্টেল-মেসে থেকে পড়াশোনা করছিলেন। লকডাউনের জেরে সেগুলি সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তাই সবচেয়ে ভাল উপায় ছিল, তাঁদের ঘরে ফেরানো। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ প্রত্যেক পড়ুয়ার স্ক্রিনিং করার পরেই তাঁদের নিজের নিজের শহরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক? স্বাস্থ্যকর্মীদের পর এ বার সাফাইকর্মীদের উপর হামলা মধ্যপ্রদেশে
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় ভারতের সহযোগিতাকে কুর্নিশ জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ
কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব নীতীশ কুমার। তাঁর বক্তব্য, সব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে। তা ছাড়া এটা লকডাউনের নিয়মেরও পরিপন্থী। তিনি বলেন, "যে ভাবে বিশেষ বাসে করে পড়ুয়াদের কোটা থেকে ফেরানো হয়েছে, সেটা লকডাউনের নীতির সঙ্গে অবিচার করার শামিল।’’ কেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, তা নিয়েও সরব হন নীতিশ। অভিযোগ উড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের বক্তব্য, ‘‘আমরা বিশেষ বাস পাঠিয়ে প্রায় চার লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ফিরিয়ে এনেছি।’’ আর লকডাউনের মধ্যে পড়ুয়াদের ফেরানো প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, ‘‘কোটার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।’’