প্রতীকী ছবি।
টিকাই করোনাকে হারানোর একমাত্র অস্ত্র। বৃহস্পতিবার আরও একবার তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে জানাল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে এপ্রিল থেকে অগস্টের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এনে কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনার প্রথম টিকাই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ৯৬.৬ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার শক্তি রাখে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর করোনায় মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় ৯৭.৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ২৬৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশে। মৃত্যু হয়েছে ৩৩৮ জনের। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে, তাতে বলা হয়েছে, এপ্রিল থেকে মে মাসে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের অধিকাংশেরই টিকা নেওয়া ছিল না। কেন্দ্রের করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পল পরিসংখ্যানটির উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘এতে স্পষ্ট টিকাই করোনা থেকে মৃত্যু এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। টিকাই করোনার বিরুদ্ধে একমাত্র রক্ষাকবচ।’’
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে করোনা টাস্কফোর্সের ওই বৈঠক থেকেই ভি কে বলেন, ‘‘টিকা এখন পাওয়া যাচ্ছে। দেশের মানুষকে অনুরোধ করব আপনারা টিকা নিন। প্রথম টিকা নেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পরই দ্বিতীয় টিকা নিতে পারবেন।’’ করোনা টিকা নেওয়ার পরও অনেকে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছিল। ভি কে বলেন, ‘‘টিকা নিলে সংক্রমিত হবেন না এমন বলা হয়নি। তবে সংক্রমণ হলেও তা মৃত্যু পর্যন্ত এগোবে না। টিকার লক্ষ্য একটাই। করোনা থেকে যাতে রোগীর মৃত্যু না হয়, তা নিশ্চিত করা।’’ তবে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ নিয়েও সতর্ক হতে বলেছেন ভিকে। তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গিতে উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি বেশ কিছু মৃত্যু হয়েছে। করোনার সঙ্গে এই রোগগুলি সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে।’’