গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল শুক্রবার। ওই দিন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৯৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টার নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। শনিবার এক ধাক্কায় তা হয়ে দাঁড়াল ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭১৬। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৮৮৪ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৬৭১ জনের। সব মিলিয়ে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ২৭৩।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৯.৭ শতাংশ, যা আগের দিনের তুলনায় কয়েক ধাপ বেড়েছে।
সারা দেশের নিরিখে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। শুরু থেকেই ওই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে। শুধু মাত্র ওই রাজ্যেও ২ লক্ষ ৯২ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৫২ জনের। তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তে সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩১৫ জনের। দিল্লিতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫৭১ জনের। উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, গুজরাত এবং অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা সংক্রমণ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: তিন দিনে এক লাখ করোনা রোগী! দিশা কোথায়, প্রশ্ন উঠছে ১০ লক্ষ ছুঁয়ে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ১১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৯ জনের। মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশেরই কো-মর্বিডিটি ছিল বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদের মধ্যে ৮৬৩ জনের কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে এক দিনে সংক্রমিত ১ হাজার ৮৯৪, বাড়ল সংক্রমণের হার
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে ১ হাজার ৮৯৪ জনের। তার জেরে রাজ্যে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ১১। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। সেই সঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটও গত কালকের থেকে কয়েক ধাপ বেড়ে হয়েছে ১৪.৩ শতাংশ।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)