প্রতীকী চিত্র।
টিকা নেওয়ার কয়েক দিন পর আশা কর্মীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল অন্ধ্রপ্রদেশের গুণ্টুরে। ঘটনার প্রতিবাদে গুণ্টুরের গর্ভনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান আশাকর্মীরা। হাসপাতালে জেলাশাসক গেলে তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তবে মৃত ওই আশা কর্মীর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, বাড়ি তৈরির জন্য জমি ও এক জনের চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ ব্রেন স্ট্রোক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে আরও নির্দিষ্ট করে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। টিকার কারণেই মৃত্যু বলে মানতে চাননি জেলাশাসক। তাঁর দাবি, টিকা নিয়ে গুণ্টুর জেলায় আর কারও অসুস্থ হওয়ার খবর নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়লক্ষ্মী নামে ৪২ বছরের ওই আশাকর্মী ১৮ জানুয়ারি কোভিড টিকা নেন। তার ৩ দিন পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রচণ্ড মাথাব্যথা-সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয় তাঁরা। এক সময় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় গুণ্টুর গভর্নমেন্ট হাসপাতালে। রবিবার ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশা কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে দাবি তোলেন তাঁরা। খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসকও। তাঁকে ঘিরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। তবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা কেউ মারা গেলে সরকার যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল, সেই ক্ষতিপূরণের জন্য তিনি সুপারিশ করবেন। এ ছাড়া পরিবারের এক জনকে চাকরি এবং বাড়ি তৈরির জমি দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
চিকিৎসকরা ব্রেন স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু বললেও পরিবারের লোকজন তা মানতে নারাজ। বিজয়লক্ষ্মীর ভাই বলেন, ‘‘দিদির শারীরিক কোনও সমস্য ছিল না। একদম ফিট ছিলেন। কোভিডের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।’’ টিকা নেওয়ার জন্যই দিদির মৃত্য়ু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।