২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৫৩৫ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের নিরিখে ইরানকে ছাপিয়ে বিশ্বের প্রথম দশে ঢুকে পড়েছিল সোমবার। গত ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’হাজার ৫৩৫ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন এক লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ জন। কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও দিল্লি—এই চারটি রাজ্যে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। এই নিয়ে দেশে কোভিডের কারণে মৃত্যু হল মোট চার হাজার ১৬৭ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৯৫ জনের। ৮৮৮ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে। মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩০০, পশ্চিমবঙ্গে ২৭৮। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে দিল্লি (২৭৬), রাজস্থান (১৬৭), উত্তরপ্রদেশ (১৬৫) ও তামিলনাড়ু (১১৮)।
দেশের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণের সন্ধান মিলেছিল কেরলে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে উঠে এসেছিল মহারাষ্ট্র। তার পর থেকে মহারাষ্ট্রের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়নি অন্য কোনও রাজ্যে। সেই মহারাষ্ট্রে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৬৬৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দু’হাজার ৪৩৬ জন।
লেখচিত্র-১
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২ জন। এর পরে রয়েছে গুজরাত। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৬০ জন। রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৩ জন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৭,৩০০), মধ্যপ্রদেশ (৬,৮৫৯), উত্তরপ্রদেশ (৬,৫৩২), পশ্চিমবঙ্গ (৩,৮১৬), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩,১১০), বিহার (২,৭৩০), কর্নাটক (২,১৮২), পঞ্জাব (২,০৬০), তেলঙ্গানা (১,৯২০), জম্মু-কাশ্মীর (১,৬৬৮), ওড়িশা (১,৪৩৮) ও হরিয়ানা (১,১৮৪)।
আরও পড়ুন: গোড়াতেই বিভ্রাট, বিভিন্ন শহরে বাতিল বহু বিমান
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮১৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭৮ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেবে, করোনাভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা ২০৬। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক ঠেকাতে পরীক্ষা কম, কবুল গুজরাতের
করোনাভাইরাসে যেমন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমন সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটাও নেহাত কম না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এটাই যেন আশার আলো। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৯১ জন। তার মধ্যে দু’হাজার ৭৭০ জন সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
লেখচিত্র-২
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)