দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
লাফিয়ে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ছিল সাড়ে ৫৩ হাজার। শুক্রবার তা ছাড়িয়ে গেল ৫৯ হাজার। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবরের পর একদিনে এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হননি কোভিডে। দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছিল দেড় লক্ষের আশপাশে। শুক্রবার ফের তা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও অবধি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৯ হাজার ১১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৫৭ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ১১১ জন। এ নিয়ে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস।
দেশের এই দৈনিক সংক্রমণের সিংহভাগই হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। এ ব্যাপারে রোজই নতুন নজির গড়ছে মহারাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩২ হাজারের কাছাকাছি। আজ তা প্রায় ৩৬ হাজার। কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণ দু’হাজার ছাড়াচ্ছে। কেরল, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে তা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানেও বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। গত ক’দিনে বেড়ে পশ্চিমবঙ্গেও তা ৫০০ ছাড়িয়েছে।
দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে। এবং যে ভাবে গত ক’দিনে সক্রিয় রোগী বেড়েছে, তা গোটা করোনা অতিমারি পর্বে সর্বোচ্চ। শেষ ১ লক্ষ সক্রিয় রোগী বেড়েছে সবচেয়ে কম সময়ে। গত ৩ দিনে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৭৫ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় তা প্রায় ৩৩ হাজার। দেশের মোট সক্রিয় রোগীর অর্ধেকেরও বেশি মহারাষ্ট্রে।
পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে আংশিকভাবে লকডাউন জারি হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লকডাউনের কড়াকড়ি। বেঙ্গালুরুতে ঢুকতে গেলে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দোল উৎসব পালনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য।
সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই দেশে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত দেশে ৫ কোটি ৫৫ লক্ষেরও বেশি কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।