গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দেশ জুড়ে কোভিডে মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা জুলাইয়ের প্রথম দিনের পর ফের হাজারের গণ্ডি পার করল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। তবে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সামান্য কমলেও তা সাড়ে ৪ লক্ষের বেশি রয়েছে। যদিও সংক্রমণের দৈনিক হারও আগের দিনের থেকে নিম্নমুখী হয়েছে। এ ছাড়া, দৈনিক টিকাকরণ হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ২০৬ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৭৩৮ জন আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১ জুলাই মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছিল যে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫ জন মারা গিয়েছেন। তার পর থেকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের নীচে ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের তা ঊর্ধ্বমুখী হল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের ৪ লক্ষ ৭ হাজার ১৪৫ জন বাসিন্দার কোভিডে মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৭৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে দৈনিক সংক্রমণ আগের থেকে কমলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেশ জুড়ে এই মুহূর্তে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩ জন করোনার আক্রান্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কেরল। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ১৩ হাজার ৫৬৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রে আরও ৮ হাজার ৯৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ফের ৩ হাজারের বেশি করে দৈনিক সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অন্য দিকে, কর্নাটক, ওড়িশা এবং অসমের মতো রাজ্যের প্রতিটিতে ২ হাজারের বেশি করে সংক্রমিত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭১৬ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ যে অন্যতম হাতিয়ার, তা বরাবরই উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক টিকাকরণ কমেছে। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ৪ লক্ষাধিক দৈনিক টিকাকরণ হয়েছিল। তবে শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮০২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের দৈনিক হার অবশ্য কমে দাঁড়িয়েছে ২.১৯ শতাংশে।