লকডাউনে হরিদ্বারে গঙ্গার ঘাট ফাঁকা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। পর্যটকের আনাগোনাও বন্ধ। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে কলকারকাখানাও। তাতে হৃষিকেশ এবং হরিদ্বারে গঙ্গার জল কার্যতই ‘পবিত্র’ হয়ে উঠেছে বলে এ বার দাবি উঠল। দূষণ কমে গিয়ে গঙ্গার জল এতটাই শুদ্ধ হয়ে উঠেছে যে, তা দিয়ে আচমন করার সময় দু’বার ভাবতে হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী তথা গুরুকুল কাঙরি ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক বিডি জোশী।
বহুকাল পর গঙ্গার জল এমন বিশুদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন বিডি জোশী। তিনি বলেন, লকডাউনের জেরে জনজীবন স্তব্ধ। তাতে গঙ্গার জলে দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ (টোটাল ডিসলভড সলিড), শিল্পবর্জ্য, হোটেল-ধর্মশালা থেকে নির্গত ময়লা এসে পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতেই দূষণের পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘গঙ্গা সভা’র সাধারণ সম্পাদক তন্ময় বশিষ্ট জানান, এর আগে গঙ্গা কখনও এত পরিষ্কার হয়নি। জলের গুণগত মানও আগের চেয়ে ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (পিসিবি) আঞ্চলিক আধিকারিক আরকে কাহাইত।
আরও পড়ুন: দেশে তিনশো ছাড়াল করোনায় মৃত্যু, মহারাষ্ট্রেই মৃত প্রায় দেড়শো
আরও পড়ুন: নতুন করে ১০৮ জন আক্রান্ত চিনে, মৃত্যুমিছিল থামার নাম নেই আমেরিকায়
তাঁদের এই দাবি নিয়ে বিজ্ঞান জগতের কেউ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। লকডাউনের ফলে দূষণ কমে যাওয়াতেই গঙ্গার জল পান করা যাবে, তাতে সায় দেননি পিসিবির মুখ্য সায়েন্টিফিক অফিসার এসএস পালও। বরং তাঁর দাবি, জীবাণুমুক্ত করার পর গঙ্গার জল পান করতে কোনও সমস্যা নেই।