প্রতীকী ছবি
লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য সরবরাহে ই কমার্স সংস্থাগুলিকে নিষেধ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রবিবার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ওই মন্ত্রকের তরফে। তাতে মোবাইল ফোন, রেফ্রিজারেটর, পোশাক, টেলিভশন এবং ল্যাপটপের ডেলিভারি নিষেধ করা হয়েছে। যদিও এর আগে ওই সব পণ্য সরবরাহে ই কমার্স সংস্থাগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
একটি সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকায় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ই কমার্স সংস্থা এবং তাদের কর্মীদের ব্যবহৃত যানবাহনকে অনুমতি সাপেক্ষে, নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য যে গাইডলাইন ছিল তা বাতিল করা হল।’
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ভাইরাস ছড়ালে ‘ফল ভুগতে হবে’ চিনকে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
আগামী ২০ এপ্রিল থেকে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য সরবরাহের জন্য ই কমার্স সংস্থাগুলিকে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত সপ্তাহেই এ নিয়ে গাইডলাইনও জারি হয়। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ট্রেডার্স (সিএআইটি)-এর মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেছেন, ‘‘লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ৪০ লক্ষের বেশি ব্যবসায়িক সংস্থা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। তাদেরকে সরিয়েই ই কমার্স সংস্থাগুলিকে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, এসএসকেএমে ৮ চিকিৎসক-সহ ১৪ জন কোয়রান্টিনে
তাঁর আরও দাবি, ‘‘লকডাউন ঘোষণার পর পরই এই সব ই কমার্স সংস্থাগুলি তাদের কাজকর্ম স্থগিত করে দেয়। আমরা জানতে চাই, কোন প্রয়োজনে তাদের কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হল? তাদের যদি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করতে অনুমতি দেওয়া হতো তা হলে আমাদের বলার কিছু ছিল না।’’ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠিও লেখে ওই সংগঠনটি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)