National News

৩ মে-র পর কী পদক্ষেপ? সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফের বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

গত ২ এপ্রিল প্রথম বার করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর দ্বিতীয় বৈঠক হয় ১১ এপ্রিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ২০:৩৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠেক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মোকাবিলার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠক করবেন তিনি। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর এই নিয়ে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩ মে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা আরও বাড়ানো হবে কি না অথবা উঠে গেলে পরবর্তী পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। পাশাপাশি ২০ এপ্রিল থেকে যে ক্ষেত্রগুলি ফের চালু হয়েছে, রাজ্যগুলিতে তার পরিস্থিতি এবং মোটের উপর করোনা সংক্রমণ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

Advertisement

দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ মে। ওই দিনই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে, নাকি তা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে, এ সব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত জানতে চাইতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যেমন ভাবে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সায় দিয়েছিলেন অনেক মুখ্যমন্ত্রী। আবার লকডাউন যদি আর না বাড়ে, তা হলে কোন পথে এগনো হবে, তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনাও রয়েছে। সংক্রমিত এলাকা এবং অসংক্রমিত এলাকার জন্য আলাদা পরিকল্পনা হতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

গত সোমবার থেকে সারা দেশে ‘নন হটস্পট’ অর্থাৎ যে সব এলাকায় করোনার তেমন প্রভাব নেই, তেমন এলাকাগুলিতে লকডাউনের নিয়মকানুন শিথিল হয়েছে। কৃষি, পশুপালন, মাছ চাষ, ছোট শিল্প ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম শুরু হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সেই সব কাজকর্ম চালানোর কথা বলা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা যে যেখানে আটকে পড়েছেন, সেখানেই তাঁদের কাজ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তার ভিত্তিতে এই সব ক্ষেত্রের কাজকর্ম কতটা চালু হয়েছে এবং সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাংলার নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা হচ্ছে: মমতা

বুধবারই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ছ’শোরও বেশি। লকডাউনের মধ্যেও মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে, অনেক রাজ্যের পরিস্থিতিই ভাল। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও কমে আসছে। আবার সারা দেশেই টেস্ট কিটের অভাবের অভিযোগ উঠেছে। ফলে টেস্টের সংখ্যা কম হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ২৭ এপ্রিল সারা দেশে সংক্রমণ এবং বৃদ্ধির হারের চিত্রটা আরও কিছুটা স্পষ্ট হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ফলে ওই সময় এই নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: অপরাধমূলক শাসন চলছে বাংলায়: টিভি সাক্ষাৎকারে তীব্র আক্রমণ ধনখড়ের

গত ২ এপ্রিল প্রথম বার করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর দ্বিতীয় বৈঠক হয় ১১ এপ্রিল। সেই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ অংশ নিয়েছিলেন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement