National news

কাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর, পরশুই লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা মোদীর?

শনিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে লকডাউন কী ভাবে চলবে— তার চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হবে। রবিবার সে সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ১৭:০০
Share:

রবিবারই কি লকডাউনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী? -ফাইল চিত্র।

রবিবার ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে দেশজুড়ে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসছে মঙ্গলবার ঘোষিত লকডাউন পর্বের শেষ দিন। তার পর কী হবে? তা নিয়ে আগামিকাল, শনিবার, সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে খবর, সেই বৈঠকের পর লকডাউন কী ভাবে চলবে, কোথায় কী পরিবর্তন হবে— তার চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হবে। এবং রবিবারই তার ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

১৪ এপ্রিলের পর এক ধাক্কায় যে লকডাউন উঠছে না, তা গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ধাপে লকডাউনের রূপরেখা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক প্রত্যাহার হবে কি না, তার ভাবনাচিন্তাও রয়েছে। এই সব কিছু নিয়েই কাল প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। আলাদা আলাদা ভাবে রাজ্যগুলির চাহিদা, সুবিধা-অসুবিধার কথা তিনি শুনবেন।

ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্য আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক যেমন নিজের রাজ্যে লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রের সিন্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লকডাউন বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ডাকা আগামিকালের বৈঠক এবং তার পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দেখার পরই দরকার মতো আলাদা সিদ্ধান্ত নেবেন। কর্নাটক, অসম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ নেই ভারতে, ভুল স্বীকার করল হু

সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনে বেশ কিছু রদবদল আসতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মিলতে পারে ছাড়ও। টানা লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি ভীষণ ভাবে চাপে পড়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কলকারখানা বন্ধ। বন্ধ রেল বা অসামরিক বিমান পরিবহণের মতো বড় পরিষেবা ক্ষেত্র। কিন্তু করোনা সংক্রমণের যা এই মুহূর্তের পরিস্থিতি, তাতে বেশি কিছু চালু করতে গেলেই বিপদ ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ছুঁইছুঁই, ২৪ ঘণ্টায় মৃত আরও ৩৩

এ অবস্থায় কেন্দ্র দেশের সমস্ত অঞ্চলকে করোনা সংক্রমণের বিচারে তিনটে ভাগে ভাগ করার কথাও ভাবছে। বিপজ্জনক এলাকা (রেড জোন), উদ্বেগজনক এলাকা (ইয়োলো জোন) এবং বিপন্মুক্ত এলাকা (গ্রিন জোন)। এই এলাকা ভাগের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় স্তরে কোথাও ছাড়, কোথাও আরও কড়াকড়ির ব্যবস্থা হতে পারে কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।

তবে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া যে এই অতিমারি থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই, তা মনে করছেন সব বিশেষজ্ঞই। টানা ২১ দিনের লকডাউনের পরও সব মিলিয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪১২। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৩ জনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement