কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা।—ফাইল চিত্র।
লকডাউন ছাড়ের সুযোগ নিয়ে দেদার নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। ফলে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। তাই আজ চতুর্থ দফা লকডাউনের চতুর্থ দিনের মাথায় সব রাজ্যকে কড়া ভাবে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলার জন্য সতর্ক করে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা।
আজ সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে ভল্লা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য সূ্ত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশাবলী মানা হচ্ছে না। চিঠিতে বলা হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জ়োন বা গণ্ডিবদ্ধ সংক্রমিত এলাকাকে ভাল ভাবে চিহ্নিত করে সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাতে ওই এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে ‘নাইট কার্ফু’ জারি রয়েছে, তা কড়া ভাবে পালনের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছেন ভল্লা। যদিও একাধিক রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, কছোর ভাবে লকডাউনের নিয়ম মানা এক, আর নাইট কার্ফু জারি করে লোকজনকে বাড়ি থাকতে বাধ্য করা অন্য বিষয়। ঘটনাচক্রে আজই লকডাউন নিয়ম যাতে পালন হয়, লোকজন যাতে অহেতুক রাস্তায় না বেরোয় তারজন্য মুম্বইয়ের একাধিক অংশে ফ্ল্যাগ মার্চ করে সিআইএসএফ।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ৫,৬০৯ জন। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১২,৩৫৯। গত কাল করোনায় মারা গিয়েছে ১৩২ জন। ফলে সব মিলিয়ে দেশে করোনার শিকার ৩,৪৩৫ জন। এ দিকে উত্তপ্রদেশে যোগী প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে আজ সে রাজ্যে ফিরে আসা প্রায় ১২৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। আরও প্রায় ৪৬ হাজার শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণের তালিকায় এখনও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই। শুধু মুম্বইতেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার ছুঁয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেখে বৃহন্মুম্বই পুরসভা নিজেদের এলাকায় থাকা প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালের একশোটি করে শয্যা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় কেন্দ্রের রাজনীতি! বিরোধী বৈঠকে সরব হবেন মমতা
আরও পড়ুন: বিমানের ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র