—প্রতীকী চিত্র।
তৃতীয় দফায় ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেও এ বার মদ ও তামাকজাত দ্রব্যের দোকান খোলায় সায় দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সব জায়গায় দোকান খোলা যাবে না, গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনগুলোতেই দোকান খোলা যাবে। এ ছাড়াও রেড জোনের মধ্যেকনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে খুলে রাখা যাবে দোকান। তবে সবটাই শর্তসাপেক্ষে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবার যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যক পণ্যের বাইরে থাকা জিনিসপত্রের দোকানও খোলা যাবে। যদি তা শপিং মল বা শপিং কমপ্লেক্সের বাইরে থাকে। এই নির্দেশিকা পাওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি মদের দোকানও খোলা যাবে ওই সমস্ত জায়গায়?
তবে ওই সব দোকান খুললেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে মালিকদের। দোকানের বাইরে যাঁরা লাইন দেবেন, তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যে ২ মিটার করে ব্যবধান থাকতে হবে। একসময়ে, একই সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি দোকানে লাইনও দেওয়া যাবে না।
গত ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেশের সমস্ত মদের দোকান বন্ধ। গত কয়েক সপ্তাহে তা নিয়ে একাধিক বার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয় অ্যালকোহলজাত পানীয় উৎপাদন সংগঠন। দোকান খোলার অনুমতি চায় তারা। গত সপ্তাহে এই নিয়ে রাজ্যগুলিকেও চিঠি দেয় তারা। তাতে বলা হয়, লকডাউনের জেরে গত ২৪ মার্চ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে রাজ্যগুলির।
আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ
আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব মেনেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন, সায় দিল কেন্দ্র
সেই থেকেই লকডাউনের মধ্যে মদের দোকান খোলা যায় কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। মদের দোকান খোলা নিয়ে প্রকাশ্যে সওয়াল করতে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ টোপীকেও। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।