ছবি: সংগৃহীত।
এলাকার সাফাইকর্মী আহত। রাস্তাঘাট পরিষ্কার করতে পারবেন কি না, তার ঠিক নেই। তাই ঝাড়ু হাতে নিজেই রাস্তায় নেমে পড়লেন কর্নাটকের মন্ত্রী এস সুরেশ কুমার। সঙ্গে যোগ দিলেন তাঁর স্ত্রী-ও। শনিবার সকালে দু’জনে মিলে নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট পরিষ্কার করলেন। সাতসকালে মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী-র এই আচরণে যারপরনাই খুশি এলাকাবাসী। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বেঙ্গালুরুর পুরকমিশনারও। মন্ত্রীর এই রাস্তা সাফাইয়ের ছবিই আপাতত নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানেও বিস্তর প্রশংসা কুড়োচ্ছেন রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী সুরেশ কুমার।
ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিক (বিবিএমপি) সূত্রে খবর, সুরেশ কুমারের এলাকার সাফাইকর্মী লিঙ্গমার পায়ে চোট। ফলে ওই অবস্থায় তিনি কী ভাবে এলাকার রাস্তাঘাট পরিষ্কার করবেন, তা নিয়ে বেজায় চিন্তায় ছিলেন মন্ত্রী।
লিঙ্গমার কাজের বোঝা কমাতে তাই ঝাড়ু হাতে তুলে নেন তিনি। লকডাউনের মাঝেই সাতসকালে রাস্তা সাফ করতে নেমে পড়েন। মন্ত্রীর রাস্তা সাফাইয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিবিএমপি-র কমিশনার বি এইচ অনিল কুমার। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “খুবই মানবিক এই আচরণ। তা ছাড়া, বিবিএমপি এবং তার পুরকর্মীদের প্রতি সেবার ভাবনাও এতে ফুটে উঠেছে।”
নেটাগরিকদের কাছে আপাতত প্রশংসার পাত্র হয়ে উঠেছেন সুরেশ কুমার। তাঁদের কারও মতে, নিজের বাড়ির রাস্তা নিজেরাই সাফসুতরো রাখলে পুরকর্মীদের কাজের বোঝা কমবে। আবার অনেকের মতে, অন্যদের কাছে উদাহরণ তৈরি করেছেন সুরেশ কুমার। এক জন নেটাগরিক টুইটারে লিখেছেন, “অসাধারণ স্যর। আপনাকে কুর্নিশ। আপনার মতো রাজনীতিক সত্যিই বিরল।”
আরও পড়ুন: ঢোকা-বেরনো বন্ধ, খুলবে না বাজারও, রাজ্যের সম্ভাব্য হটস্পট এলাকাগুলি
তবে শুধু কর্নাটকের ওই মন্ত্রীই নন, নেট দুনিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও। লকডাউনের সময় জনশূন্য রাস্তায় পথকুকুররা যাতে অভুক্ত না থাকে, তার জন্য নিজের হাতে তাদের খাওয়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি, রাজ্যবাসীর কাছে ইয়েদুরাপ্পার আবেদন, “পথকুকুরদের জল ও খাবার জোগানোর চেষ্টা করুন, যাতে খিদে-তেষ্টার হাত থেকে তারা রক্ষা পায়।”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)