একশো দিনের প্রকল্প চালিয়ে যেতে অনুমোদন নীতীশ কুমারের।
লকডাউনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়াও কিছু পরিষেবায় ছাড় ঘোষণা করেছে একাধিক রাজ্য। এ বার সেই পথে হাঁটল বিহারও। একশো দিনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে নীতীশ কুমারের সরকার। কাজ চাইলে সাধারণ মানুষকে জেলাশাসকদের ফোন করার জন্য বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই প্রশাসন ও পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ওই বৈঠকে বন্যা মোকাবিলায় বাঁধ নির্মাণ, পানীয় জল প্রকল্প, পুকুর সংস্কার ও গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে একশো দিনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেন তিনি। জানান, কেউ কাজ চাইলে তিনি যেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসককে ফোন করেন। সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য বিধি মেনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
নীতীশ কুমারের যুক্তি, একশো দিনের কাজ চালু হলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রতি বছরই বিহারের কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। তাই বর্ষা নামার আগেই, গ্রীষ্মের মরসুমে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ সেরে ফেলতে চান নীতীশ। একশো দিনের কাজ চালু হলে সেই উদ্দেশ্যও পূরণ হবে।
আরও পড়ুন: হটস্পটে আরও কঠোর, ছাড়ের ভাবনা অন্যত্র, বললেন প্রধানমন্ত্রী
তবে বয়স্ক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষকে ওই প্রকল্পে কাজ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। ভিন্রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করার নির্দেশও দিয়েছেন নীতীশ। এর আগে ওই খাতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ১০ হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত আরও ১২০০
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)