ধুন্ধুমার: বাড়ি ফিরতে চাওয়া ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের রোষের মুখে পুলিশ। সোমবার সুরতে। পিটিআই
ফের অশান্ত সুরত। নিজ রাজ্যে ফিরতে না-পারার ক্ষোভে আজ সুরতের বরেলী, পালনপুর পটিয়া, কডোদরায় পথে নামেন বস্ত্র, হিরে ও নির্মাণ শিল্পের হাজার হাজার শ্রমিক। বরেলীতে পুলিশ তাঁদের শান্ত করতে গেলে, পাথর ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ লাঠি চালিয়ে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের হটাতে গেলে দু’পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। এই নিয়ে চার বার ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সুরত।
দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এ পর্যন্ত ৩১টি ট্রেনে নিজ রাজ্যে ফিরেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শুধু আমদাবাদ ও সুরত থেকেই গত তিন দিনে ১৮টি ট্রেন ছেড়েছে। ফিরেছেন ২১ হাজার শ্রমিক। এমন আরও শ্রমিক-ট্রেন চলবে আগামী কিছু দিনে। কিন্তু সুরতের বস্ত্র, হিরে ও নির্মাণ শিল্পে ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশে ও অন্যান্য রাজ্যের দু’লক্ষের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। ফলে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন না।
এই অবস্থায় ঘরে ফেরার বাসভাড়া জোগাড় করতে, অনেকেই যা-কিছু ছিল সব বেচে দিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, শিল্প মালিকদের স্বার্থে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই করছে না ফেরার। আগুনে ঘি পড়ে গত সপ্তাহে। লকডাউনের মধ্যেই ঠিকাদাররা রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকে নির্মাণশিল্পের বেশ কিছু শ্রমিককে সুরতে নিয়ে হাজির করায়। ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকেরা প্রশ্ন তোলেন, অন্য জায়গা থেকে শ্রমিকদের আসতে দেওয়া হলে, তাঁদের কেন যেতে দেওয়া হবে না। সদুত্তর মেলেনি তার। দিনের শেষে সুরত পুলিশ দাবি করেছে, সুরতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যেমনটি তারা বলেছিল, আগের তিন দফার শ্রমিক বিক্ষোভের পরেও।
বেকারির যুক্ত দেখিয়ে বস্ত্র ও হিরে শিল্পের মালিক সংগঠনগুলি লকডাউনের মধ্যেই কাজ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্চে। কিন্তু শ্রমিকেরা ওই মাস থেকেই না-পাচ্ছেন বেতন, না ঠিক মতো খাবার। এ দিকে ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন ঘরের মালিকেরা। তার উপরে রয়েছে কোভিড-১৯-এর আতঙ্কও।
আরও পড়ুন: মালিকদের চাপেই কি শ্রমিক ফেরাতে অনীহা
সংক্রমণে দেশের দু’নম্বর রাজ্য এখন গুজরাত— মহারাষ্ট্রের ঠিক পরেই। সেখানে মারা গিয়েছেন ২৯০ জন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)