কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র
লকডাউনের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দাম বাড়ছে জিনিসপত্রের। আবার অনেক সময় খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ কেনায় ছাড়পত্র মিললেও হাতে টাকা নেই। তাই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সচল রাখতে উদ্যোগী হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আজ সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামিকাল সোমবার থেকে সব ব্যাঙ্কের সব শাখা খোলা থাকবে। এটিএম এবং কাউন্টারেও পর্যাপ্ত নগদের জোগান থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।
লকডাউনের মধ্যেও ব্যাঙ্কগুলি যে ভাবে পরিষেবা দিচ্ছে, রবিবার তার জন্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার সব ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে ফোনে কথা বলেছেন। কথোপকথনের সময় কেন্দ্রীয় অর্থসচিব দেবাশিস পণ্ডা, যুগ্ম সচিব মদনেশ কুমার মিশ্র ও সুচিন্দ্রা মিশ্রের মতে শীর্ষ আধিকারিকরাও ছিলেন। ওই ফোন কলে সমস্ত শাখা ও এটিএম খোলা রাখার আর্জি জানান বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
পরে টুইট করে তিনি জানান, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশার কথা যে, সবাই জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সচল রাখতে তাঁরা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা নিশ্চিত যে গ্রাহকদের সব রকম পরিষেবা দিতে পারবেন।’’
আরও পড়ুন: রিপোর্ট নেগেটিভ, আরোগ্যের পথে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত আমলাপুত্র
আরও পড়ুন: রাস্তায় হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, বিমানে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব স্পাইসজেটের
লকডাউন ঘোষণার পরেই ব্যাঙ্ক কর্মী-অফিসারদের সংগঠন কর্মীদের নিরাপত্তা দাবি করেছিল। আপত্তি তোলা হয়েছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রশ্নেও। তাঁদের যুক্তি ছিল, ব্যাঙ্ক খোলা থাকলে প্রচুর মানুষ আসবেন। তাঁদের থেকে ব্যাঙ্ক কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই অর্থমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, কর্মীরা যাতে ব্যাঙ্কে পৌঁছতে বা বাড়ি ফেরার পথে কোনও সমস্যায় না পড়েন তার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে।