ছবি: পিটিআই।
লকডাউন শুরু হতেই কার্যত অন্তরালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেটে গিয়েছে ৩ সপ্তাহের বেশি। দেশের এই জরুরি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা যখন প্রকাশ্যে সক্রিয়, তখন কিছু টুইট করা ছাড়া অন্তরালে শাহ। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব ঘরোয়া ভাবে এ কথা মানছেন না। তাঁদের কথায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশলী নেতৃত্বেই এত বড় দেশে লকডাউন মসৃণ ভাবে চলছে।
গত চার সপ্তাহে চার বার দেশের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য মন্ত্রীরাও যে সক্রিয়, মাঝে-মধ্যেই ফলাও করে তা জানান দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ‘অনুপস্থিত’ শাহ। কারওর মতে, শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তরের কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। মতান্তরের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম। যে-ভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডোভাল প্রথমে দিল্লি সংঘর্ষ থামানো, পরে লকডাউনের সময়ে তবলিগি জামাতের সদস্যদের নিভৃতবাসে পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা নেন, অনেকে বলছেন— তাতে ক্ষুব্ধ অমিত।
শাহের ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য বলছেন, বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। তাই চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে খবর, ৩০ জানুয়ারি যখন দেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়েন, তখন সংক্রমণ পরীক্ষার একটি মাত্র কেন্দ্র ছিল পুণেতে। দ্রুত পরীক্ষাগার বাড়াতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে উদ্যোগী হন অমিত। সম্প্রতি মুম্বইয়ে শ্রমিকদের ভিড়ের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে লকডাউনের সব নিয়ম পালন না-হওয়ায় চিঠি পাঠানো থেকে প্রমাণ, সব কিছুর ওপর তাঁর নজর রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার হটস্পট কলকাতা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন-পুরসভা?
আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী রাজ্য, এল নতুন নির্দেশিকা
বিজেপির মতে, শাহ দলের কট্টর ভাবমূর্তির প্রতীক। কিন্তু এখন সব রাজ্যকে পাশে নিয়ে চলার সময়। অতীতে যে কাজটি করতেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, আজ করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সাহায্য চেয়ে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ মোদী। দলের এক নেতার বক্তব্য, যখন রাজনীতির লড়াই শুরু হবে, তখন প্রয়োজন হবে অমিতকে। সেই কারণে এখন থেকেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে রাজ্যগুলি লকডাউনের নিয়ম মানছে না, তাদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করে আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত রাখছেন কৌশলী অমিত।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)