স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (বাঁ দিকে) সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তার মধ্যেই রবিবার শেষ হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউউন। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী রণকৌশল কী? তা স্থির করতেই শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও দু’সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে আগামিকাল।
গত কাল বৃহস্পতিবার প্রথমে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। তার পর রাতে মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে লকডাউন নিয়ে তাঁদের মতামত জানতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রীরাও তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। শুক্রবারের বৈঠক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিশদে জানিয়েছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখেও অর্থনৈতিক কাজকর্মে কী ভাবে আরও গতি আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রায় প্রত্যেক দফার লকডাউন বাড়ানোর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই দফায় এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও বৈঠকের খবর নেই। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। কিন্তু দেশে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর করায় এ বিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই নিয়েই বিভিন্ন রাজ্যের তরফে অভিযোগ উঠছিল যে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অজুহাতে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। তাই কিছুটা সাবধানে এবং সহযোগিতার বার্তা দিয়েই কেন্দ্র এগোতে চাইছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৬৬, আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত উঠে এল ন’নম্বরে
আরও পড়ুন: চিন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি ট্রাম্পের, জানাল সরকারি সূত্র
অন্য দিকে চার দফায় লকডাউন করেও কার্যত কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী বুধবারও বলেছেন, সরকারের লকডাউন ফর্মুলা ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তী রণকৌশল কী, তা স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। ফলে লকডাউনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।