প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের সময় বাতিল করা উড়ানের টিকিটের পুরো টাকাই যাত্রীদের ফেরত দিতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর পরামর্শ অনুযায়ী মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এ দিন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের এক বেঞ্চ জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন বিমানের টিকিট বাতিল করলে তাতে কোনও ক্যানসেলেশন ফি দিতে হবে না যাত্রীকে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক— দুই উড়ানের জন্যই এই নির্দেশ বলবৎ হবে বলেও জানিয়েছে বেঞ্চ। পাশাপাশি, টাকা ফেরতের জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত একটি ক্রেডিট শেল স্কিমেও অনুমোদন করেছে শীর্ষ আদালত।
আদালতের নির্দেশ, ট্র্যাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে যাঁরা বিমানের টিকিট কিনেছেন, তাঁদের নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাতিল টিকিটের টাকা ফেরত পেলে, সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করতে পারবেন। বিমান সংস্থাগুলিকে টাকা ফেরতের জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় ধার্য করেছে আদালত। তবে লকডাউনের সময় টিকিটের বুকিং করলে, বিমান সংস্থাগুলিকে তা অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। কারণ, লকডাউনের চলাকালীন কোনও যাত্রীর থেকেই টিকিট বুকিং করতে পারে না বিমান সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: রাহুলকে গলাধাক্কা, শেষে গ্রেফতার যোগীর পুলিশের
আরও পড়ুন: যোগী আমলে ধর্ষণ করে খুনের রমরমা ‘উত্তমপ্রদেশে’
এ দিনের রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, “লকডাউনের সময় (২৫ মার্চ থেকে ২৪ মে) সফরের জন্য কোনও যাত্রীর কাছ থেকে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য বুকিংয়ের টাকা নিলে এবং সেই যাত্রী টিকিট বাতিল করে তার টাকা ফেরত চাইলে অবিলম্বে তা ক্যানসেলেশন চার্জ ছাড়াই পুরোটাই ফেরাতে হবে বিমান সংস্থাগুলিকে। টিকিট বাতিলের তিন সপ্তাহের মধ্যেই তা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ট্র্যাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে তা অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে যাত্রীকে।”
এ দিনের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, “লকডাউনের আগে ২৪ মে পর্যন্ত যাঁরা টিকিটের বুকিং করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ক্রেডিং শেল স্কিম এবং তার আওতায় থাকা ইনসেন্টিভের মধ্যে টাকা ফেরাতে হবে।”
অন্য দিকে, ২৪ মে-র পর সফরের জন্য বুকিং করা টিকিটের টাকা ফেরত চাইলে সিভিল অ্যাভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট বা সিএআর-এর আওতাধীন নিয়ম মানতে হবে বিমান সংস্থাগুলিকে।