প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণের হারে দেশের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছল পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, বাংলায় বর্তমানে সংক্রমণের হার ৩২.১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মহারাষ্ট্রে ২২.৩৯ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে ২৩.১ শতাংশ।
চলতি বছরের গোড়ায় সারা দেশে জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের হারের নিরিখে কলকাতা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলা ছিল শীর্ষে। এখন জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের হারে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দেশের মধ্যে দু’টি রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় (অ্যাক্টিভ) কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। কলকাতায় এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৫৫১। তবে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, ঠাণের মতো শহরগুলি এ ক্ষেত্রে কলকাতার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি গুজরাত, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক এবং ভোট হতে যাওয়া উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশের ৩০০-র বেশি জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ বা তার বেশি।’’