দেশে সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। —ফাইল চিত্র।
দেশের নাগরিকদের যত শীঘ্র সম্ভব ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল আমেরিকা সরকার। দেশের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ নিয়েও চারস্তরীয় ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, করোনার প্রকোপে এই মুহূর্তে ভারতে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ সীমিত। তাই এখন ভারতে না যাওয়াই শ্রেয়। এই মুহূর্তে যাঁরা ভারতে রয়েছেন, তাঁদের যত শীঘ্র সম্ভব দেশে ফেরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৪ লক্ষ ছুঁইছুঁই। করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত দেশে ২ লক্ষ ৪ হাজার ৮৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের মতো দেশ আগেই ভারতের সঙ্গে উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে উড়ান পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ১৪টি বিমান চলছে। প্যারিস এবং ফ্র্যাঙ্কফুর্ট হয়েও চলাচল করছে কয়েকটি বিমান। সুবিধা মতো যে কোনও বিমানে চেপে নাগরিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুণ চিত্র উঠে এসেছে। হাসপাতালে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। ঘাটতি রয়েছে অক্সিজেন এবং ওষুধপত্রেরও। এমনকি মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের বাইরেও লাইন দিতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকজনকে। এই বিপর্যয় সামাল দিতে আমেরিকা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যদিও, তবে নিজেদের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাকেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা।