আমিরশাহিফেরত দু’জন কোভিড আক্রান্ত। ছবি: পিটিআই।
কেরলে এ বার দুই বিদেশফেরতের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়ল। করোনা সঙ্কটে বিদেশ-বিভুঁইয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। উদ্ধারকার্যের প্রথম দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই দুবাই এবং আবু ধাবি থেকে বিমানে চাপিয়ে ৩৬৩ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে থেকে কেরলের বাসিন্দা দু’জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সে কথা জানান।
বিদেশফেরত ওই দুই আক্রান্তদের মধ্যে এক জনের চিকিৎসা চলছে কোঝিকোড়ে। অন্য জন কোচিতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এই মুহূর্তে কেরলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৫০৩-এ। এর মধ্যে ৪৮৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৭ জন। এতে নতুন করে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে।
জানুয়ারির শেষ দিকে কেরলের হাত ধরেই ভারতে করোনাভাইরাসের প্রবেশ ঘটে। তার পর গত তিন মাসে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে কেরল সরকার। তবে আগামী দিনে পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে শুক্রবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেন পিনারাই বিজয়ন। বিদেশফেরত ভারতীয়দের মাধ্যমে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে, তা সামাল দিতে রাজ্যকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনার শিকার বেড়ে ৯৯, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১
এই মুহূর্তে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে যে সমস্ত ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, তার একটা বড় অংশই কেরলের বাসিন্দা। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এবং নৌবাহিনীর আইএনএস জলশ্ব জাহাজে চাপিয়ে খুব শীঘ্র আরও ৬৯৮ জন মলদ্বীপ হয়ে কোচি পৌঁছবেন। বিমান এবং জাহাজে তোলার আগে ও পরে তাঁদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্যে পৌঁছেও বাড়ি যেতে ফিরবেন না কেউ, বরং প্রথমে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে সাত দিন থাকতে হবে তাঁদের। তার পর একাধিক স্ক্রিনিং পেরিয়ে বাড়িতেও সাত দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হবে প্রত্যেককে।
আরও পড়ুন: বাঘ বাড়ল সুন্দরবনে, নয়া সুমারিতে মিলল ৯৬টির হদিশ
তবে গর্ভবতী মহিলা এবং প্রবীণদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে যাওয়ার বদলে বাড়িতেই ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে পারবেন তাঁরা।