ত্রিপুরা হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে আগেই জানতে চেয়েছিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। অ্যাডভোকেট জেনারেল আজ হলফনামা দিয়ে তার জবাব দেওয়ার পরেও নতুন করে ১৪টি বিষয় জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা।
অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভোমিক জানান, জেলাভিত্তিক ল্যাবরেটরি টেকনিশানের সংখ্যা, মাস্ক ব্যবহার না-করায় কত জরিমানা আদায় হয়েছে, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্ট, বাড়িতে নিভৃতবাসের নীতি নির্দেশিকা, জিবি হাসপাতালে আসন সংখ্যা, ভেন্টিলেটরের সংখ্যা, অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা, অক্সিজেন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা-সহ অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা, সহায়তা কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বর এবং তার ব্যবহার, ২৪ ঘণ্টা বিশেষ অনুসন্ধান কেন্দ্র খোলার কোনও পরিকল্পনা, অভিযোগ গ্রহণের প্রক্রিয়া, প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার হিসাব, আক্রান্তের গড় হিসাব এবং সুস্থতার হার, বেসরকারি হাসপাতলের করোনা রোগীদের চিকিৎসা খরচ নির্ধারণ— ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা। তিনি জানান, হাইকোর্টের সব প্রশ্নের জবাব দেবে সরকার।
রাজ্যের করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা এবং অব্যবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা উচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থ মামলা নিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি আকিল কুরেশি এবং বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় রাজ্য সরকার কে নোটিস দিয়ে কয়েকটি বিষয়ে জবাব দিতে বলে। রাজ্য সরকার সেই জবাব দেওয়ার পরেও এ দিন আরও প্রশ্ন করেন বিচারপতিরা। ২৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।