প্রতীকী ছবি।
অন্তত দু’দিনের জন্য মেঘালয় সফরে এলে ও কোভিড পরীক্ষা করালে তবেই পর্যটকদের মেঘালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গুয়াহাটি থেকে যাওয়া অনেকেই সকালে শিলং গিয়ে, চেরাপুঞ্জি ঘুরে রাতে গুয়াহাটি ফিরে আসেন। তেমন পর্যটকদের রি-ভয় জেলার উমলিং চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভ। কিন্তু রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টন টিংসং জানান, কোভিডের টিকা আসা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই নিয়মই বলবৎ থাকবে। পর্যটকদের জন্য রাজ্যের দরজা খোলার পরে গড়ে প্রতি দিন ৮০০ পর্যটক উমলিং চেকপোস্টে আসছেন।
তাঁদের মধ্যে গড়ে দেড়শো জনকে ফেরানো হচ্ছে। গত দু’বছরে সিএএ বিরোধী আন্দোলন, হরিজন কলোনির হাঙ্গামা-কার্ফু, ইনারলাইন পারমিটের আন্দোলন ও কোভিডের জেরে পর্যটন নির্ভর রাজ্যের আয় মুখ থুবড়ে পড়েছে। মেঘালয়ের পর্যটন বলতে সকলে বোঝেন শিলং-চেরাপুঞ্জি-মাওলিনং-দাওকি। তার বাইরেও জয়ন্তীয়া পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড়, গারো পাহাড়েও যে কত আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল আছে- তার খবর বাইরে যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুহা-পর্যটনে মেঘালয় বিশ্বের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হতে পারে। কিন্তু সেই বিকল্পগুলির বিকাশে রাজ্য সরকার মন দেয়নি। শিলং-চেরাপুঞ্জির বাইরে ভাল হোটেল, যাওয়ার ব্যবস্থা, রেস্তোরাঁ কিছুই নেই।
মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ‘নিউ নর্মাল’-এর আমলে রাজ্যের পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন। তিনি জানান, মেঘালয়ের এখন লক্ষ্য, ‘হাই ভ্যালু, লো-ভলিউম’ পর্যটন। বিলাসবহুল ও তুলনায় খরচসাপেক্ষ পর্যটনে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। নতুন পর্যটনস্থলগুলিতে গড়ে তোলা হবে উপযুক্ত পরিকাঠামো।