ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে লকডাউনের কথা বিবেচনা করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। লকডাউন জারির ক্ষেত্রে গরিব ও প্রান্তিক মানুষের প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে অর্থনীতির ক্ষতির কথা ভেবে এখনও কেন্দ্র জাতীয় স্তরে লকডাউনের কথা ভাবতে রাজি নয় বলে দাবি সরকারি সূত্রের।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুরু করা মামলায় গত কাল রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গভীর রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা ৬৪ পাতার রায়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, সংক্রমণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানাতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে। জমায়েত ও ‘সুপার স্প্রেডার’ হতে পারে এমন অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কথা এখনই বিবেচনা করা উচিত। প্রয়োজনে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি লকডাউনের কথা বিবেচনা করতে পারে। তবে লকডাউনের আর্থ-সামাজিক প্রভাব, বিশেষত গরিব ও প্রান্তিক মানুষের সমস্যার কথা আদালত জানে। লকডাউন জারির ক্ষেত্রে এই শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা আগে করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও এখনও জাতীয় স্তরে লকডাউন জারির কথা ভাবছে না কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের মতে, রাজ্যে রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা বা লকডাউন জারির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু জাতীয় স্তরে লকডাউন হলে অর্থনীতির বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ‘ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিয়োরিটিস ইন্ডিয়া’ সংস্থার করা সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জাতীয় লকডাউনের ক্ষেত্রে গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১ থেকে ২ শতাংশ কমে যেতে পারে। ধাক্কা খেতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার। তবে শিল্পমহলের একাংশও প্রয়োজনে লকডাউনের কথা ভাবার দাবি তুলেছে। সিআইআই-এর প্রেসিডেন্ট উদয় কোটাকের মতে, সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে লকডাউনের কথা ভাবা উচিত সরকারের।